দেশজুড়ে

অবশেষে বিয়ে করলেন সেই বাকপ্রতিবন্ধী জুটি

মনের ভাষা প্রকাশে কথা বলার দরকার হয় না। ইশারা-ইঙ্গিতেই প্রকাশ পায় মনের প্রকৃত অনুভূতি। এমনটাই প্রমাণ করেছে হবিগঞ্জের আলোচিত দুই বাকপ্রতিবন্ধীর প্রেম অতঃপর  বিয়ে। বাকরুদ্ধতা তাদের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারিনি। ভালোবাসার টান এক করেছে তাদের।

Advertisement

আলোচিত এ প্রেম কাহিনীর বর মৌলভীবাজার জেলা সদরের একাটুনা ইউনিয়নের উলুয়াইল গ্রামের মৃত হাজী মখলিছুর রহমানের ছেলে লন্ডন প্রবাসী সিরাজ আহমদ ও কনে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জের বড় পিরিজপুর গ্রামের মৃত মুহিব উদ্দিনের মেয়ে ফাবিহা খানম পান্না।

স্থানীয়রা জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে সিরাজ ও পান্নার মাঝে পরিচয় ঘটে। এখানেই তারা একে অপরের অনুভূতি প্রকাশ করতে থাকেন। একে অপরকে বুঝতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। দিন গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রেম গভীর হতে থাকে। কথা না বলতে পারার অনুভূতি তাদের আর দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রায় দুই বছর ধরে চলে তাদের প্রেম।

অবশেষে প্রেমের টানে এক সপ্তাহ আগে মা ও ছোট ভাইকে নিয়ে দেশে ফেরেন সিরাজ। এরপর দুই পরিবার মিলে তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার পাঁচ লাখ টাকা দেন মোহরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী রহমান কমিউনিটি সেন্টারে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে কনে পক্ষের লোকজন ও বর যাত্রী ছাড়াও উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল।

Advertisement

এ সময় কমিউনিটি সেন্টারে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিয়েতে সিলেট ও ঢাকা থেকে বর যাত্রী হিসেবে আসেন বর সিরাজ আহমদের ১০ জন বন্ধু। তাদের সবাই বাকপ্রতিবন্ধী। তাদের মাঝেও উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি ছিল না।

পান্নার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে ফেসবুকে ফাবিহা খানম পান্নার সঙ্গে পরিচয় হয় সিরাজের। এরপর দুই জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলেন তারা। পরে তারা দুই জনই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের পর বাকপ্রতিবন্ধী নববধূ ফাবিহা খানম পান্নাকে বাকপ্রতিবন্ধী স্বামী সিরাজ আহমদের মৌলভীবাজারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএআর/এমএস

Advertisement