জাতীয়

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিজয়ী কাউন্সিলররা

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডে ২৮৭ জন প্রার্থীর মধ্যে সরকারপন্থী কাউন্সিলররা বেশি জয় লাভ করেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপিত ডিএনসিসি নির্বাচনের কার্যালয় থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন ঢাকা উত্তরের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহ আলম।ঢাকা উত্তরে বিজয়ী কাউন্সিলররা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর মো. আফছার উদ্দিন খান। আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কাউন্সিলর প্রার্থী ঝুঁড়ি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৩৮৬২ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত মো. সাজ্জাদ হোসেন ঘুড়ি প্রতীকে ১৪৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ঝুড়ি প্রতীকে ৮৬৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবদুর রউফ নান্নু ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ২০৪০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল হোসেন ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ৪৮২৫ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. জিন্নাত আলী ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে ২২৩৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. জাকির হোসেন বাবুল ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ১৩২৭৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ হয়েছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ  সমর্থিত প্রার্থী মো. মফিজুর রহমান টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে ১০৮৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০ নম্বর ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাছির ঘুড়ি প্রতীকে ৮৭৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মো. ওসমান গনি লাটিম প্রতীকে ১৬৫৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।২২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ১০০৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে মোস্তাক আহমেদ ঝুঁড়ি নিয়ে ৫২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মো. সফিউল্লা শফি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে ১৬২৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান ঝুঁড়ি প্রতীকে ১০০৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম হাসান মিষ্টি কুমড়া প্রতীকে ১২১০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের ফরিদুর রহমান খান ইরান লাটিম প্রতীকে ১৮৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. ফোরকান হোসেন ঘুড়ি প্রতীকে ৫১৫৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. নুরুল ইসলাম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আবুল হোসেন হাসু, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শফিকুল ইসলাম, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে হাবিবুর রহমান, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তারেকুজ্জামান তারেক, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে আবু তাহের খান, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফয়জুল মনির, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৈমুর রেজা, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে আবু তাহের, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়ান আব্দুল মান্নান ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইকবাল হোসেন তিতু বেসরকারিভাবে জয়ভাল করেছেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর : শাহনাজ পারভীন, মেহেরুন্নেছা হক পিঞ্জর,সালমা কামাল,রাজিয়া সুলতানা ইতি, খালেদা বাহার বিউটি, নাজমুন নাহার হেলেন, শামীমা রহমান, কাউসার জাহান, রশিদা আক্তার ঝরনা ও আলেয়া সরোয়ার ডেইজী।উত্তরের ৩৬ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ ও নারী ভোটার ১১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩ জন। সাধারণ ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৬ এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সংখ্যা ১২টি।নির্বাচনে ২৮১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী, ৮৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ১৬ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মোট ভোটকেন্দ্র ১০৯৩টি।একে/এমএস

Advertisement