বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২ টার সময় মন্ত্রী নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নে ভুলুয়া ডিগ্রী কলেজে প্রাঙ্গনে প্রয়াত নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক,মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী বিএলএফ‘র উপ প্রধান ও বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব এডভোকেট মমিন উল্যাহর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা ও জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সরকার তো তাদের সুযোগ বিতরণ করবে না। গত নির্বাচনে তারা যে ভুল করেছে, ভুলের চোরাবালিতে তারা আটকে গেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে ও নিবন্ধন বাতিল ঠেকাতে এবং যতই নালিশের ভাঙা রেকর্ড বাজাক শেষ পর্যন্ত তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বিরাট দল ও প্রতিষ্ঠান। টানা আট বছর ধরে দলটি ক্ষমতায় আছে। এর আগে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দলের ভিতরে কিছু পরগাছা ঢুকে যায়। এরা জায়গায় জায়গায় সমস্যা সৃষ্টি করে। এর মধ্যে নির্বাচন বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসে তখন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড় বেশি দেখা যায়।
Advertisement
এসময় পুরনোদের সঙ্গে নবাগতদের রেশারেশি শুরু হয়। এটি যেমন আমাদের দেশে রয়েছে, তেমনি ভারতসহ গণতন্ত্রের দেশগুলোতে এর উপস্থিতি রয়েছে। পরগাছাদের অনুপ্রবেশের ফলে যে সমস্যাগুলো হচ্ছে- তা সমাধানে আমি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছি আমরা। যেখানে এসব ঘটনা ঘটছে সেখানে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে অনেকে জেলে রয়েছে এবং অনেকের ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধি হওয়ার যে সম্ভাবনা রয়েছে তার রুদ্ধ হয়ে গেছে। দলের ভিতরে কার কী অবস্থান বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে প্রতিবেদন বা এসিআর প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা রয়েছে। কিছু কিছু সময়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলেও আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার পর বুঝতে পারবে শৃঙ্খলা বিরোধীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস, পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনাম সেলিম, ভুলুয়া ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবু জাফর হারুন, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, নেয়াজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এএইচ এম বাহাদর প্রমুখ।
মিজানুর রহমান/এআরএ/পিআর
Advertisement