তিন দিনের ভুটান সফর শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারত সফরের মত আরো একটি ফলপ্রসূ সফর হচ্ছে ভুটান সফর। এই সফরে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং দুটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে মঙ্গলবার দুই দেশের মাঝে কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক এসব চুক্তি ও স্মারক স্বাক্ষর হয়।
Advertisement
এর আগে অটিজম বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশে তিনদিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার ভুটানে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এ সময় দেশটির প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগের এবং থিম্পুতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী বিমানবন্দরে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান। প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ভুটানের সেনা সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে রয়্যাল ব্যাংকুয়েট হলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসারিং তোবগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নৌ প্রটোকল রুট ব্যবহারসংক্রান্ত এমওইউ। এই চুক্তির আওতায় ভুটান বাংলাদেশের বন্দর ও নদী ব্যবহারের সুযোগ পাবে। ভুটানের কোনো বন্দর সুবিধা নেই। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে দেশটির আমদানি-রপ্তানির জন্য অনেক সুবিধা হবে। তেমনি লাভবান হবে বাংলাদেশও। বহু বাংলাদেশির কর্মসংস্থানও হবে এক্ষেত্রে। ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে ত্রিদেশীয় যৌথ উদ্যোগে সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ব্যাপারেও আলোচনা এগিয়েছে অনেকদূর। এছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভুটানের দেয়া জমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
বর্তমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা ব্যতীত কোনো একক দেশের পক্ষে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফর তাৎপর্যবাহী। এই সফরে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার হবে যা থেকে দুই দেশই উপকৃত হবে। আমরা এমনটিই আশা করছি।
Advertisement
এইচআর/এমএস