ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বন্দুকধারীর হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
Advertisement
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে প্যারিসের চ্যাম্পস-এলিসিসে চালানো ওই হামলায় বন্দুকধারী নিজেও নিহত হয়েছেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।
পুলিশ বলছে, গুলি চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হামলাকারী নিহত হন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএস তাদের প্রচারমাধ্যম আমাকে এক বিবৃতি দাবি করেছে, তাদের এক ‘যোদ্বা’ এই হামলা চালিয়েছে। ওই বিবৃতিতে হামলাকারীকে ‘দ্য বেলজিয়ান’ বলে সনাক্ত করা হয়েছে।
Advertisement
হামলাকারীর সঙ্গে বেলজিয়ামের সম্পর্ক কী সে বিষয়টা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে এখনও পরিষ্কার নয়।
ফ্রান্সের সরকারি কৌঁসুলি ফ্রাঁসোয়া মলিনস বলেছেন, হামলাকারীর পরিচয় জানা গেলেও তা এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না কারণ তদন্ত ও তল্লাশি শুরু হয়ে গেছে।
তবে আইএসের বিবৃতিতে হামলাকারীর নাম বলা হয়েছে, আবু-ইউসুফ আল-বালজিকি।
রোববার ফ্রান্সে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওই নির্বাচনের প্রাক্কালে গতকাল এই হামলার ঘটনা ঘটল। এই নির্বাচনের জন্য ইসলামি জঙ্গিবাদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।
Advertisement
সংবাদ মাধ্যম এএফপির হিসেব অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ফ্রান্সে ‘জিহাদি’ হামলায় ২৩৮ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার পর নির্বাচনের প্রার্থীদের অনেকে তাদের প্রচারণা নির্ধারিত সময়েরি আগেই বন্ধ করে দেন।
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ বলেছেন, নিরাপত্তাবাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ফরাসিদের। নিহত পুলিশ সদস্যকে যথাযথ সম্মান জানানো হবে।
বিশ্বজুড়ে খ্যাতি ও পর্যটকের কারণে চ্যাম্পস-এলিসিসে আগে থেকেই হামলার শঙ্কা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পিয়েরে-অঁরি ব্রানদেত জানান, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে একটি পুলিশ বাসের কাছে একটি কার থেকে নেমে এক ব্যক্তি গুলি চালাতে শুরু করেন। একজন নিহত হওয়ার পর অন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে চালাতে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আরও দুই পুলিশ আহত হন।
এরপরই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে হামলাকারী নিহত হন বলে জানান ব্রানদেত।
এনএফ/এমএস