ওয়ানডে সিরিজে সাফল্য ধরা দেয়নি, ডুবতে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জায়। এর পর একমাত্র টোয়েন্টি২০ ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টানা ৩টি ওয়ানডে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে মুশফিকরা। তাইতো একমাত্র টোয়েন্টি২০ ম্যাচে জয়ে ফেরার প্রত্যয় ছিল মুশফিকের কণ্ঠে। খেলার ২৬ মিনিটের মাথায় বৃষ্টি হানা দেয়। দুই দফা মাঠ পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ সময় ৮টা ৩৫ মিনিটে ম্যাচ রেফারি মাঠ পরিদর্শনে আসেন। মাঠ খেলার উপযুক্ত না হওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি।এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। বৃষ্টি নামার আগে ৪.৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ ৩১ রান সংগ্রহ করে। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল(১১) ও এনামুল হক বিজয় (১৯) রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন।টোয়েন্টি২০ ম্যাচে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের আশায় ছিলেন মুশফিকরা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে একমাত্র টোয়েন্টি২০ ম্যাচটি জিততে মুখিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। জয়ের লক্ষ্যে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় মাঠে নেমেছিল মুশফিকবাহিনী।সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচে দল থেকে ৪টি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে আগেভাগে উড়িয়ে নেওয়া তাইজুল ইসলামের জায়গা হয়নি টোয়েন্টি২০ দলে। ইমরুলের পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন শামসুর রহমান। মাশরাফির পরিবর্তে দলে জায়গা হয়েছে তাসকিন আহমেদের, একজন ব্যাটসম্যানকে কম খেলিয়ে একজন পেসার বাড়িয়ে খেলানো হয়। সেক্ষেত্রে সুযোগ মিলেছে রুবেল হোসেনের, বাদ পড়েছেন মুমনিুল হক। গাজীর পরিবর্তে দলে সুযোগ মেলে মো. মিঠুনের।উল্লেখ্য, চলতি বছর জয়ের ধারায় নেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ৯টি ওয়ানডে হারের পাশাপাশি ৭টি টোয়েন্টি২০ ম্যাচে হেরেছেন মুশফিকরা। টানা হারের এই বৃত্ত থেকে বেরোতে সেন্ট কিটসের ম্যাচে মুশফিকরা জয় পেতে মরিয়া থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। যদিও স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটাররা তাদের ছেড়ে কথা বলবেন না- এটাও নিশ্চিত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৫ বার টোয়েন্টি২০ লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ জয়ের দেখা পেয়েছে দু’বার। প্রথমবার ২০০৭ সালের প্রথম টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপে, দ্বিতীয়বার ২০১১ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
Advertisement