জাতীয়

কাফরুলে ডিবির অভিযান নাটক : তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা

রাজধানীর কাফরুলে জুয়ার আসরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলের বিরুদ্ধে র‌্যাব পরিচয়ে ‘অভিযান নাটক’ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর-১৪ নম্বরে পুলিশ স্টাফ কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৭’ প্রদান করতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু ডিএমপির, তা খতিয়ে দেখতে ডিএমপি একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কমিটির দুই কার্যদিবস অতিবাহিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে কমিটি যে রিপোর্ট দেবে তার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Advertisement

গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কাফরুলের কচুক্ষেতের ব্যায়ামাগার এলাকায় মাইক্রোবাস নিয়ে ‘অভিযান’ চালায় ডিবির পূর্ব বিভাগের একটি দল।

এর নেতৃত্বে ছিলেন সহকারী কমিশনার রুহুল আমিন। তিনি একটি ক্লাবে নিজেকে র‌্যাব-৪ এর মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন। না দিলে সবাইকে গ্রেফতার করারও হুমকি দেন তিনি।

এ সময় তার সঙ্গে আরও ৭-৮ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। চারজনকে আটক করে গাড়িতে উঠিয়ে সেনানিবাস এলাকায় ঢুকে পড়েন ওই কর্মকর্তা। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাফরুল থানা পুলিশ।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিকদার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি মিলিটারি পুলিশকে জানান। তখন ওই গাড়ি শনাক্ত করে আটক করা হয়। ডিবির দলটিকে নেয়া হয় পুলিশ হেফাজতে।

Advertisement

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, র‌্যাব নয়, তারা ডিবির পূর্ব বিভাগের সদস্য। ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠেন ডিবির সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা।

পরে এ ঘটনায় জড়িত সাত পুলিশ সদস্যকে বুধবার বরখাস্ত করা হয়। একই সঙ্গে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) জামিল আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় ও মিরপুর বিভাগের ডিসি মাসুদ আহম্মেদ।

ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ব্যক্তির দায় কখনও পুলিশ বাহিনী নেবে না। শৃঙ্খলাপরিপন্থী যেকোনো কাজে জড়ালে তার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়।

‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কাফরুলের ঘটনায় সাত পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেইউ/এমএমএ/জেআইএম