পাট ও পাটজাতীয় পণ্যের উন্নয়ন এবং উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনসহ পাটের বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে আনুষঙ্গিক বিষয়ে গবেষণার জন্য পৃথক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্যে সংসদে উত্থাপিত একটি বিলও চূড়ান্ত করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিলের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়। যা ২ মে থেকে শুরু হওয়া সংসদের ১৪তম অধিবেশনে বিল আকারে পাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. মামুনুর রশীদ কিরণ, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ১৯৭৪ সালের ‘বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট’ বাতিল করে নতুন আইন করতে ‘বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল-২০১৭’ গত ৮ মার্চ সংসদে উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
Advertisement
পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বজুড়ে পাটজাত পণ্য ব্যবহারের গুরুত্ব বাড়ার মধ্যে এ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ১৯৭৪ সালের আইনটি পরিমার্জন করে বাংলায় নতুন আইন করতে গত জুলাইয়ে বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউট পাট ও সমশ্রেণির আঁশ ফসলের কৃষি, কারিগরি ও অর্থনৈতিক গবেষণা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন ও পরিচালনা এবং আঁশজাত ফসল উৎপাদন এবং গবেষণার ফলাফল সম্প্রসারণ করবে।
সরকারের অনুমোদন নিয়ে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন করতে পারবে। ইনস্টিটিউট পাট ও সমশ্রেণির আঁশ ফসল, পাটজাত পণ্য ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে গবেষণার জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইলট প্রকল্পও করতে পারবে।
Advertisement
প্রস্তাবিত আইনে ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য ১৭ সদস্যের বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। মহাপরিচালককে নিয়োগ দেবে সরকার।
বিলে আরও বলা হয়েছে, পাট সম্পর্কিত উদ্ভুত কোনো সমস্যা নিরসন বা পাটের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কোনো প্রযুক্তি বা কৌশল উদ্ভাবনের জন্য ইনস্টিটিউট সরকারের অনুমোদন নিয়ে গবেষক বা প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করতে পারবে।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এমএমএ/এএইচ/আরআইপি