দেশজুড়ে

এখানে আমার কোন হাত নেই : প্রিজাইডিং অফিসার

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক ও বর্তমান দুই এমপি দুটি কেন্দ্র দখলে নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরপূর্বক ব্যালটে সিল মারিয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী দিয়ে। কেন্দ্র দুটি হচ্ছে গভর্মেন্ট কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট এবং এনএমসি স্কুল। সকাল ১০ টা ১০ মিনিটের দিকে বাকলিয়া গভর্মেন্ট কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি গাড়ি থেকে নেমে কেন্দ্রে প্রবেশের সাথে সাথে বহিরাগত বেশ কয়েকজন যুবক ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা কেন্দ্রের দোতলায় উঠে যায়। হাছান মাহমুদ নিচে থাকলেও তারা উপরে গিয়ে ভোট কক্ষটি দখলে নিয়ে নেয়। কক্ষটি ছিল মহিলা ভোটদান কক্ষ। এ সময় মহিলা ভোটাররা চিৎকার চেঁচোমিচি শুরু করেন। পরে পুলিশ ও বিজিবি’র সদস্যরা এসে দখলকারীদের বের করে দিলে পরিবেশ শান্ত হয়। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার ড. গাজী গোলাম মাওলা বলেন, ‘আমি নিচে ছিলাম দোতলায় কি হয়েছে আমি জানি না।’ তিনি সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে দাবি করে বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬টি বুথে ৩৯২টি ভোট কাস্ট হয়েছে। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমের পোলিং এজেন্ট জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি বলেন, আমাদের হিসাব মতে প্রতিটি বুথে এখনো ৩০টির উপরে ভোট কাস্ট হয়নি। সকাল সাড়ে ১০টায় খাজা রোডে অবস্থিত এনএমসি হাই স্কুলে (চৌধুরী স্কুল) সাতকানিয়ার এমপি আবু রেজা নদভীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও সাতকানিয়া ছাত্রলীগ যুবলীগের একটি দল কেন্দ্রটির সব বুথ দখলে নিয়ে জোরপূর্বক পোলিং এজেন্টদের বের করে দেন। এসময় ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এসময় কেউ প্রবেশ করতে পারেনি পুরো কেন্দ্রে। পরে আধা ঘণ্টা পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল থেকে এসে তাদেরকে বের করে দিলে উত্তেজনা কমে আসে। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার মোহাম্মদ আজম বলেন, এখানে আমার কোন হাত নেই এবং আমার করারও কিছুই নেই। এর বাইরে আর কোন কথা বলতে তিনি রাজি হননি। এমএএস/আরআইপি

Advertisement