খেলাধুলা

বিফলে জুনায়েদের সেঞ্চুরি, জয়রথ সচল আবাহনীর

লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শুভাগত হোম ও নাজমুল হোসেন শান্ত- এক ঝাঁক তারকাভর্তি দল আবাহনীর কেউ সেঞ্চুরি করতে পারেননি; কিন্তু আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ঠিক শতরান করলেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী।

Advertisement

জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনারের ব্যাট থেকে ১১২ বলে ১১৪ রানের দারুণ এক ইনিংস বেরিয়ে এলেও লাভ হয়নি। অন্য কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে না পারায় শেষ রক্ষা হয়নি ব্রাদার্সের। চ্যাম্পিয়নদের কাছে হেরেই মাঠ ছাড়ে গোপীবাগের দল। ৩২ রানের জয়ে মাঠ ছেড়েছে আবাহনী।

প্রথম দুই ম্যাচ অনায়াসে জেতা আকাশী-হলুদ শিবির আজ ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তৃতীয় খেলায় সাফল্যের ভীত খুঁজে পায় প্রথম সেশনেই। প্রথম দুই খেলায় ধানমন্ডির দলকে এগিয়ে দিয়েছিল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরি।

আজ কেউ শতরান করতে না পারলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কাউল ওপরে একটি বড় ইনিংস উপহার দেন। তার ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসে ৯৪ রানের (১২০ বলে) বড় ইনিংস। এর সাথে আর কেউ পঞ্চাশের ঘরে পা রাখতে না পারলেও লিটন দাস (৪৯ বলে ৪৮), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৪২ বলে ৪৯), নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৪ বলে ৪৯) ও শুভাগত হোম (১৭ বলে ৪৪) সবাই কার্যকর অবদান রাখলে আবাহনীর স্কোর গিয়ে ঠেকে ৩২৭-এ।

Advertisement

এক ঝাঁক ব্যাটসম্যান গড়পড়তা রান করায় সুবিধা হয় আবাহনীর। প্রথম ও দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়ে ওঠে। প্রথম উইকেটে লিটন-উদয় কাউল ১৭.১ ওভারে ৯৬ আর দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত আর উদয় কাউল জুড়ে দেন আরও ৮৮ রান।

আগের রাতের প্রবল বৃষ্টিতেও তেমন সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর সকাল সোয়া নয়টায় খেলা শুরু হয়। সে কারণেই ম্যাচের আকার এক ওভার ছোট হয়েছে। ৪৯ ওভারে ৩২৮ রানের বড় জয়ের পিছু ধেয়ে ব্রাদার্স শুরুতেই হোঁচট খায়।

ওপেনার রুম্মান আহমেদ (১) ফিরে যান প্রথম ওভারেই। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে দরকার ছিল বড় পার্টনারশিপের; কিন্তু জুনায়েদ সিদ্দিকী আর মিজানুরের পার্টনারশিপটি ৮৬ রানে ভাঙ্গলে ব্রাদার্সের হিসেব কঠিন হয়ে যায়।

মিজানুর ৫১ বলে ৪২ রানে ফিরলেও জুনায়েদ একা লড়াই চালিয়ে যান; কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আর কেউ তাকে সাহায্য করতে পারেননি। জুনায়েদ শেষ পর্যন্ত শতরান করলেও লাভ হয়নি। ২৮৮ রানে আটকে যায় ব্রাদার্সের ইনিংস।

Advertisement

ব্যাট হাতে ঝড় তোলা (১৭ বলে সাত বাউন্ডারি ও এক ছক্কা) শুভাগত হোম এরপর বল হাতেও জ্বলে ওঠেন। ৪৫ রানে তিন উইকেট শিকারী শুভাগত হোম নজর কাড়া অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সে হলেন ম্যাচ সেরাও।

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম