খেলাধুলা

অঝোরে কাঁদলেন নেইমার, সান্ত্বনা দিলেন আলভেজ

নেইমার যখন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের ফুটবলার, ইউরোপে পাড়ি জমাবেন, জমাবেন ভাব। কথা-বার্তা চলছে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর সঙ্গে। ইংল্যান্ড, ইতালি এবং স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর রশি টানাটানিতে এগিয়ে স্পেন, তখন দারুণ এক ভূমিকা রাখেন দানি আলভেজ। যেকোনো মূল্যে যখন রিয়াল মাদ্রিদ নেইমারকে দলে ভিড়িয়ে নেবে, তখন আলভেজ সরাসরি নেইমারকে প্রস্তাব দেন বার্সায় খেলার জন্য। নেইমারের এজেন্ট ছিলেন তার বাবা নিজেই। আলভেজ নেইমারের বাবার সঙ্গেও বার্সার হয়ে দুতিয়ালির কাজ করেন।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত আলভেজের চেষ্টায়ই হোক বা অন্য যেকোনো কারণে, নেইমার যোগ দিলেন বার্সেলোনায়। ২০১৩ থেকে শুরু করে গত মৌসুম পর্যন্ত কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলে গেছেন জাতীয় দল এবং ক্লাবের এই দুই সতীর্থ। মুসকিল হলো, ২০১৬ সালেই বার্সার সঙ্গে চুক্তি শেষ আলভেজের। বার্সাও চুক্তি নবায়নের জন্য খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। আলভেজও থাকলেন না। চলে গেলেন ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্তাসে।

সেই আলভেজই জুভদের হয়ে বুধবার রাতে এলেন ন্যু ক্যাম্পে প্রতিপক্ষ হয়ে। যে মাঠ এতদিন ছিল তার প্রিয়, যে মাঠে প্রতিপক্ষের সব আক্রমণ ঠেকানোর দায়িত্ব ছিল তার, সেই মাঠে তিনি হয়ে গেলেন প্রতিপক্ষ। মেসি-নেইমারদের আক্রমণ প্রতিহত করাই তার মূল দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিল এদিন। মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির পরিকল্পনা যথাযথ পালন করলেন আলভেজ। মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের ঠেকিয়ে হয়ে গেলেন নায়ক। বার্সাকে কোনো গোলই করতে দিলেন না জুভেন্তাসের ব্রাজিলিয়ান রাইট ব্যাক।

ম্যাচ শেষ হলো গোলশূন্য ড্র দিয়ে। আগের ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়া জুভেন্তাসের সঙ্গে দুই ম্যাচ মিলিয়ে ব্যবধান দাঁড়াল ৩-০ গোলের। সুতরাং সেমিতে উঠে গেল জুভেন্তাস। বিদায় নিল বার্সা।

Advertisement

বার্সা-জুভেন্তাসের ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই দেখা গেল মাঠেই অঝোর ধারায় কাঁদছেন নেইমার। তাকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলেন আলভেজ। জাতীয় দলের সতীর্থকে কাছে পেয়ে তার কাঁধে মাথা গুঁজে ফুঁফিয়ে কেঁদে উঠলেন নেইমার। এ সময় আলভেজকে দেখা গেল নেইমারকে সান্ত্বনা দিতে। পরে এক সাক্ষাৎকারে আলভেজ নেইমারকে কী বলেছিলেন সেটা জানান।

তিনি বলেন, ‘আমি নেইমারকে বলেছিলাম, এটাই তো জীবন। আমরা একে অপরের মুখোমুখি হলাম। আমি তো একই অবস্থায় নিজেকে কখনও পরিমাপ করতে পারব না। আমরা সবাই এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ। আমাদের উচিত নিজ নিজ কাজে মন দেয়া।’

আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement