ক্রিস গেইল হারিয়ে গেছেন। তার ব্যাটে ধার নেই। এমন রব উঠেছিল। অনেকেই তো তাকে ফেলে দিয়েছিলেন বাতিলের খাতায়। নাহ, গেইল ‘জীবিত’ আছেন। হারিয়ে যাননি। তার ব্যাটে ধারও কমেনি। আছেন আগের মতোই।
Advertisement
সমালোচকদের মুখে অমন রব ওঠার কারণও ছিল। আইপিএলে কেন যেন তার ব্যাট হাসছিল না। প্রথম তিনটি ম্যাচেই তার প্রমাণ মিলল। ওই তিন ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ৬০ রান। বল খেলেছেন ৫৬টি। এই স্ট্রাইক রেট তার নামের পাশে কোনোভাবেই যায় না। বেমানানই বটে।
‘টি-টোয়েন্টির রাজা’ স্বরূপে ফিরলেন গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। ৩৮ বলে খেলেছেন ৭৭ রানের টর্নেডো ইনিংস। তার এই ইনিংসটি সাজানো ৫টি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কায়। গেইলের ব্যাটে ভর করে ২১ রানের বহুকাঙ্ক্ষিত এক জয় পায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
ওই ম্যাচে ৩ রান করতেই টি-টোয়েন্টিতে (ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক মিলে) দশ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন গেইল। ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন গেইল ছাড়া আর কেউ নন। দীর্ঘ দিন পর তার ব্যাটে রান। গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় আবারও প্রশংসিত ক্যারিবীয় এই সুপারস্টার।
Advertisement
গেইলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বেঙ্গালুরু কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরিও। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই তারকা জানালেন, দলের কোচ কিংবা অধিনায়কের গাইডলাইন দরকার হয় না গেইলের। স্বমহিমায় ভাস্বর ‘টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা’।
ভেট্টোরি বলেন, ‘ক্রিস (গেইল) একজন বড় মাপের মানুষ। বেঙ্গালুরুর জন্য সেরাটা উজাড় করে দিতে চায়। যে দলেই খেলুক না কেন নিজেকে সপে দেয়। ক্রিস একজন শক্তিশালী এবং ক্ষমতাবান ক্রিকেটার। এই ধরনের উইকেটে সে ভালো খেলে। যে কোনো বোলারকে নিচে নামিয়ে আনতে পারে। সত্যি কথা বলতে কি, কোচ-অধিনায়েকের গাইডলাইন দরকার হয় না গেইলের।’
এনইউ/জেআইএম
Advertisement