বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটক আসা মানে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়া। পর্যটন শিল্পের বিকাশ মানে দেশের উন্নয়ন। সুতরাং পর্যটনের সব সুবিধাদি নিশ্চিত করা হবে।
Advertisement
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পর্যটনের উন্নয়নে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার সঙ্গে একত্রে কাজ করার বিষয়ে কার্যকর কিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। নৌপথে সুন্দরবন থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ভারতের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভ্রমণের সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিকপর্যটন মেলা ‘বিমান বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার ২০১৭’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মেনন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ট্যুরিজম শিল্পের উন্নয়নে বেশকিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের পর্যটন শিল্প বিকশিত হতে শুরু করে। এবারের মেলা বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে আরও অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
Advertisement
মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে হাতে হাত ধরে পর্যটন শিল্পকে অনেকদূর এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করে বলেন, বাংলাদেশ ও পশ্চিবঙ্গের ভাষা ও সাংস্কৃতি এক হওয়ায় এখানে রয়েছে অপার পর্যটন সম্ভাবনা। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দুই দেশ পাবে পর্যটনের বহুমাত্রিক সুবিধা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম ফারুক, বিমান বাংলাদেশ এয়াররাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরুপ চৌধুরী, টোয়াব সভাপতি তৌফিক আহমেদ প্রমুখ।
টোয়াব আয়োজিত এ পর্যটন মেলা ২০ এপ্রিল থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিতহবে। এর টাইটেল স্পন্সর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
আরএম/এসআর/আরআইপি
Advertisement