আইন-আদালত

কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলার বিচার শুরু

রাজধানীতে কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

Advertisement

ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন বৃহস্পতিবার মামলার একমাত্র আসামি গুলশানের একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপক এম জহিরুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ নির্ধারণ করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঁইয়া জানান, অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আসামি পলাশকে সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে তার কাছে জানতে চান তিনি দোষী না নির্দোষ। এ সময় পলাশ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন।

পরে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

Advertisement

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ভাড়া বাসায় দুর্বৃত্তের হামলায় মারাত্মক আহত ও দগ্ধ হয়ে পরদিন হাসপাতালে মারা যান আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক কৃষ্ণা কাবেরী মণ্ডল (৩৫)।

তার স্বামী সীতাংশু শেখর বিশ্বাস বিআরটিএর প্রকৌশল বিভাগের উপ-পরিচালক ছিলেন।

ঘটনার পর তার বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এক বছরের বেশি সময় তদন্ত চালিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।

Advertisement

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সীতাংশু বিশ্বাস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে আট লাখ টাকা ছিল। শেয়ার ব্যবসার সূত্রেই পলাশের সঙ্গে সীতাংশুর পরিচয় হয়। সীতাংশুর শেয়ার আত্মসাৎ করার জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করেন পলাশ এবং তার হামলায় কৃষ্ণার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করা হয় অভিযোগপত্রে।

ওই ঘটনায় কৃষ্ণার দুই মেয়ে শোভনা ও অদিতিও হাতুড়ির আঘাতে আহত হন।

জেএ/এমএআর/জেআইএম