রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চার হাজার অত্যাধুনিক বাস নামানোর কার্যক্রম এগিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশান-২ এর রাশিয়া ও সৌদি দূতাবাসের সামনের ফুটপাতের অবৈধ ব্লক উচ্ছেদকালে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা চার হাজার বাস নামানোর ঘোষণা দিয়েছিলাম। এ নিয়ে আমরা গত এক বছর আগে যেখানে ছিলাম এখন তার চেয়ে অনেক বেশি আশাবাদী। তবে এটা একটু সময়ের ব্যাপার। আমরা আশা করছি কিছু বাস এ বছরই চালু করতে পারবো। চার হাজার বাস কিনতে গেলেওতো এক দেড় বছর লেগে যাওয়ার কথা।
আনিসুল হক বলেন, আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। আমরা একমত হয়েছি। আশা করি আগামী মাসে আমরা পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্তে নিতে পারবো। এরপর সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দেব। এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হলো রুট ঠিক করা। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে টিকেটিং সিস্টেম করা।
Advertisement
মেয়র আনিসুল হক আরও বলেন, রাজধানীতে প্রায় দুশ’ রুটে ২০০ জন মালিকের ৬ হাজার ৩৯০টি গাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা আছে। আমরা চেষ্টা করছি এই রুটগুলোতে এ বছর ৬ থেকে ৭টি কোম্পানি নিয়ে আসার। কোন বাসে কে উঠল, না উঠল তাতে কোনো সমস্যা হবে না। বাসে মারামারি কমে যাবে।
তিনি বলেন, ৬ হাজার ৩৯০টি বাসের মধ্যে ৪ হাজার নতুন বাস থাকবে। এখন রাস্তায় দেড় হাজারের মতো নতুন বাস আছে। এই বাসগুলো রাস্তায় রেখে বাকিগুলো তুলতে হবে। এজন্য গত দেড় বছরে বাস মালিক সমিতির সঙ্গে ২৬টি মিটিং করেছি।
মেয়র বলেন, ‘বাসের সঙ্গে একটি বিরাট চক্র রয়েছে। যেমন ছিল সাত রাস্তা ও তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডে। অ্যাসোসিয়েশনের মালিকরা বুঝেছেন এই চক্র থেকে রক্ষা পেতে হলে একটা নতুন পদ্ধতি বের করতে হবে। তাই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। অনেক বড় বড় দেশ যানবাহন নিয়ে অনেক ভাল কাজ করেছে। আমরা মোটামুটি ভাল অবস্থানে এসেছি।’
তিনি বলেন, আমরা একটা ড্রাইভার একাডেমি করতে চাই। কারণ চালকরাই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় থাকেন। এরপর বাস টার্মিনাল করব। ওয়ার্কসপ করব। এসব আসলে বলতে খুব সহজ। কিন্তু বাস্তবায়নে একটুতো সময় লাগবে।
Advertisement
এ সময় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে গুলশানে রাশিয়া ও সৌদি দূতাবাসের সামনের ফুটপাতের অবৈধ ব্লক উচ্ছেদ করে সিটি কর্পোরেশন। অভিযানে কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএসএস/জেডএ/এআরএস/এমআরএম/ওআর/পিআর/জেআইএম