রাজধানী ঢাকার গণপরিবহন সঙ্কট নিরসনে মে মাসেই নতুন চারশ বাস যুক্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
Advertisement
বিদেশ থেকে এসব বাস আনা হবে বলেও জানান তিনি। বুধবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে সিল্কলাইন ট্র্যাভেলসের বাস সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকার গণপরিবহন সঙ্কট নিরসনে আরও বাস দরকার। আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পরিবহন নেতাদের নিয়ে আমার সঙ্গে বসবেন। আরও চারশ গাড়ি বিদেশ থেকে আনার একটা চিন্তাভাবনা মেয়র আনিসুল হক করছেন। সে লক্ষ্যে বাস মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
ঢাকার গণপরিবহনে ‘সিটিং সার্ভিস’ বন্ধের নির্দেশনা না মানায় কোনো পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘প্রথমত নোটিশ তো দিতে হবে, বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেছেন, তারা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।’
Advertisement
বিআরটিএ এ বিষয়ে ‘খোঁজ-খবর’ নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সবাই যদি মনে করেন যে সিটিং সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত ‘জনস্বার্থে পুনর্বিবেচনা করা দরকার বা আরও সংযোজন-সংশোধন করা প্রয়োজন, তাহলে সবাই মিলেই তা ঠিক করা হবে।
‘আমরা যারা কর্তৃপক্ষ আছি, আমাদের সবার লক্ষ্য কিন্তু সেবা করা, জনস্বার্থ যদি কোথাও বেগ পায়… আমার মনে হয় এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারি না যে সিদ্ধান্তের কারণে জনগণ ভোগান্তির কবলে পড়ে’- যোগ করেন মন্ত্রী।
সিটিং সার্ভিস বন্ধের বিষয়ে সরকার নমনীয় হচ্ছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে বিকালে (বুধবার) বিআরটিএ বসবে, সেখানে যে সিদ্ধান্ত হয়, সেটাই। আমি এ মুহূর্তে আগাম মন্তব্য কেন করব?’
Advertisement
উবারের ট্যাক্সি সেবা নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘উবার লেটেস্ট টেকনোলজি। আগেই বলেছি, এর বিরোধিতা আমি করি না। নতুন টেকনোলজিকে স্বাগত জানাতে হবে। এটাকে সিস্টেমের আওতায় আনতে একটি কমিটি করা হয়েছে এবং আলাপ-আলোচনা চলছে। এটি চলুক, বন্ধ করে না দিয়ে একটি সিস্টেমে আনতে হবে।’
এএসএস/এমএআর/এমএস