জাতীয়

সিটিং সার্ভিস নিয়ে যাত্রীদের দ্বিমত

রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের পর যাত্রীদের মধ্যে দ্বিমত দেখা গেছে। সিটিং সার্ভিস বাস লোকাল চললেও ভাড়া আগের মতোই আদায় করায় যাত্রীদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

Advertisement

কেউ কেউ বলছেন সিটিং সার্ভিসই ভালো ছিল। আবার কেউ কেউ বাস মালিকদের কাছে সরকারকে নত না হতে বলেছেন।

বেসরকারি একটি এনজিওতে কাজ করেন ফাতেমা ইয়াসমিন শিখা। তিনি প্রতিদিন বাড্ডা থেকে উত্তরার বাসে যান। কিন্তু ওই রোডে চলাচলকারী সুপ্রভাত বেশ কয়েক মাস আগে থেকে গেটলক সার্ভিস হিসেবে চলাচল শুরু করে। ফলে বাড্ডা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ভাড়া ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়।

আর সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা ওই বাসে সিট খালি না থাকায় তাকে বাড্ডা থেকে নেয়া হত না। এজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এখন লোকাল হওয়ায় তিনি বাসে উঠতে পারেন। কিন্তু ভাড়া সেই আগের মতোই বলে  বুধবার সকালে জাগো নিউজকে জানান তিনি।

Advertisement

তিনি বলেন, সরকার সিটিং সার্ভিস বাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। এ সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে। পাশাপাশি ভাড়াও লোকাল বাসের মতো করতে হবে। 

ওই রোডে চলাচলকারী ছালছাবিল, রাইদা, অনাবিলও ‘গেটলক’ আর ‘সিটিং’ হিসেবে চলতো। এজন্য মাঝ রাস্তায় কেউ উঠতে পারত না। এখন বাসগুলো লোকাল চললেও ভাড়া কমানো হয়নি বলে জানান রামপুরার বাসিন্দা পলাশ ঠাকুর।

তিনি দাবি করেন, ভাড়া আগের মতোই নিচ্ছে। কিন্তু যাচ্ছে লোকাল। তাই সময় বেশি লাগছে। এজন্য গেটলক বা সিটিং সার্ভিসই ভালো ছিল।

মিরপুর থেকে চলাচলকারী যাত্রী আবদুল মতিন জানান, আগে নিউ ভিশন বাসে মিরপুর থেকে দ্রুত কারওয়ানবাজার আসা যেত। কিন্তু এখন সময় বেশি লাগছে।

Advertisement

বিকল্প পরিবহনের যাত্রী যাত্রাবাড়ীর আবদুল খালেক বলেন, সিটিং নামের চিটিংবাজি বন্ধ করা উচিত। কারণ যাত্রীর চাপ বেশি দেখে অনেক বাস সিটিং হিসেবে চলাচল করে। ভাড়াও বেশি আদায় করে। ফলে অনেকে রাস্তায় আটকা পড়েন।

এইচএস/এএইচ/এমএস