আন্তর্জাতিক

সাধারণ নির্বাচনের অপেক্ষায় ব্রিটেন

ব্রিটেনে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। আগামী ৮ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

Advertisement

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হঠাৎ এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই নির্বাচনের জন্য পার্লামেন্টে সাংসদদের সম্মতির প্রয়োজন হবে।

এ লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে পার্লামেন্ট সদস্যদের নিয়ে বসবেন থেরেসা মে। দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন পেলেই সাধারণ নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর আকস্মিক নির্বাচন ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। থেরেসা মে জানান, ব্রেক্সিটের মাধ্যমে তিনি ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে রাখতে চেয়েছিলেন।

Advertisement

দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, রাজনৈতিক খেলায় আলোচনা বাধাগ্রস্থ হতে পারে। ২০২০ সালে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দুই-তৃতীয়াংশ সাংসদ থেরেসার মের প্রস্তাবিত বিলে সমর্থন করলে আগামি ৮ মে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এসএনপি তাদের সাংসদদের ভোট না দেওয়ার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। তবে লেবার পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা আগাম সাধারণ নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে।

ব্রেক্সিট ইস্যু থেকে ফিরে আসার ঘটনাকে এখন হাইলাইট করছে বিরোধী দল। এ ব্যাপারে করবিনের সাফ মন্তব্য, আগে তো সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন পেতে হবে।

থেরেসা মে পার্লামেন্টে যাবেন এবং ৮ জুন জাতীয় নির্বাচনের ডাক দেবেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি সাধারণ নির্বাচন দরকার; এবং এখনই দরকার।’

Advertisement

কেন এই নির্বাচন, তার ব্যাখ্যায় মে জানান, তিনি একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, শিগগিরই একটা নির্বাচন দরকার। কিন্তু কয়েক মাস আগেও দেশটিতে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই ভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেন নাগরিকরা। ব্রেক্সিট ইস্যুতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন। পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন থেরেসা মে।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগাম এ নির্বাচনে যদি তার দল কনজার্ভেটিভ পার্টি জয়ী হয় তাহলে ব্রেক্সিটে দলীয় এজেন্ডাকে প্রাধান্য দিতে পারবেন তিনি। কিন্তু যদি নির্বাচনে হেরে যান তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য ২৭ রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত জটিল হয়ে দাঁড়াবে।

দেশটিতে এই মুহূর্তে বিরোধী দল লেবার পার্টির চেয়ে জনপ্রিয়তায় ২০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে কনজার্ভেটিভ পার্টি। ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতার মেয়াদ রয়েছে মে নেতৃত্বাধীন সংসদের।

কেএ/টিটিএন/পিআর