খেলাধুলা

রোনালদোর হ্যাটট্রিকে সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ

দারুণ উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ম্যাচটিতে। কে যাবে সেমিফাইনালে, সেটা নির্ধারণই যে কঠিন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। আগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে ২-১ গোলে হেরে রিয়ালের মাঠে খেলতে এসেছিল বায়ার্ন মিউনিখ। রিয়ালের মাঠে ৩ গোলের ব্যবধান পেলেই তারা উঠে যাবে সেমিতে। ২ গোল দিতে পারলে খেলা গড়িয়ে যাবে অতিরিক্ত সময় কিংবা টাইব্রেকারে।

Advertisement

বায়ার্নের জন্য রীতিমত কঠিন একটি কাজ। সেই কাজটিই তাদের জন্য সহজ করে দিলো রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোসের এক ভুল। তার এক আত্মঘাতি গোলই ম্যাচকে গড়িয়ে দিলো অতিরিক্ত সময়ে। তবে, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দারুণ এক হ্যাটট্রিকে সব শঙ্কা নিমিষে উড়ে গেলো রিয়াল সমর্থকদের। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমির টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।

খেলার প্রথমার্ধ ছিল পুরোপুরিই নিষ্প্রাণ। কেউ কারও জালে বল প্রবেশ করাতে পারেনি। তবে খেলার ৫৫ মিনিটে পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্তব্ধ করে দেন রবার্ট লেওয়ানডভস্কি। পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে দেন তিনি বায়ার্নকে। গোল হজম করেই তেতে ওঠে রিয়াল। ৭৬ মিনিটে দারুণ হেডে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান রোনালদো। এর এক মিনিট পর আত্মঘাতি গোল রামোসের। ২-১ গোলে পিছিয়ে রিয়াল। দু’দলের গোল গড়ও তখন ৩-৩ করে। আবার অ্যাওয়ে গোলও সমান। সুতরাং, খেলা গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।

খেলা সম্ভবত অতিরিক্ত সময়ের জন্যই তুলে রেখেছিলেন রোনালদো। এ সময়ে এসেই পুরোপুরি জ্বলে উঠলেন তিনি। ১০৪ এবং ১০৯ মিনিটে বাকি দুই গোল করে পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক। একই সঙ্গে সব শঙ্কা দুর করে দেন রিয়াল সমর্থকদের মন থেকে। শেষ দিকে, ১১২তম মিনিটে বায়ার্নের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন আলভারো মোরাতা। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে রিয়াল এবং ৬-৩ গোল গড়ে সেমিতে জায়গা করে নেয় তারা।

Advertisement

খেলার ৮৪ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হন বায়ার্নের মিডফিল্ডার আরতুরো ভিদাল। অতিরিক্ত সময়ে এ কারণেই আর রিয়ালের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বায়ার্ন।

আইএইচএস/