একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক আসামি খন্দকার গোলাম রব্বানীর (৬৩) বিরুদ্ধে দেশের দুটি দৈনিক (ইংরেজি ও বাংলা) পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
তবে এ মামলার আট আসামির মধ্যে সাত আসামি বর্তমানে কারাগারে। তারা হলেন- ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের সংসদ সদস্য এমএ হান্নান ও তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩), মো. হরমুজ আলী (৭৩), মো. ফখরুজ্জামান (৬১) ও মো. আব্দুস সাত্তার (৬১)।
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন। সঙ্গে ছিলেন মোখলেসুর রহমান ও আবুল কালাম।
এর আগে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গত ১১ জুলাই এই আটজনের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। পরদিন রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুমসহ মোট ছয়টি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে।
Advertisement
২০১৫ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই হান্নানকে গুলশানে তার বাড়ি থেকে এবং ছেলে রফিক সাজ্জাদকে ওই এলাকার একটি অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। একইদিন গ্রেফতার করা হয় ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির, মিজানুর রহমান মিন্টু ও হরমুজ আলীকে।
২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। তদন্ত সংস্থা ওই বছরের ২৮ জুলাই তদন্ত শুরু করে। চলতি বছরের ১১ জুলাই তদন্ত শেষ হয়।
এফএইচ/ওআর/এমএস
Advertisement