রাজনীতি

গাড়ির মালিকরা অনেক প্রভাবশালী : ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাড়ির মালিকরা সামান্য লোক নয়। এরা অনেক প্রভাবশালী। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযানে নামলেই তারা গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে। তবে এ ভোগান্তি দূর করতে আমি বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি।

Advertisement

মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রী তার দফতরের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

মন্ত্রী আরও জানান, চেয়ারম্যান মালিকপক্ষের সঙ্গে আগামীকালই বৈঠকে বসবেন। মালিকদের সঙ্গে বসে তিনি টোটাল (পুরো) বিষয়টি আবার রিভিউ (পর্যালোচনা) করে বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, পরিবহন মালিকরা অনেক প্রভাবশালী। গাড়ি না নামালে দেশের বাস্তবতা অনুযায়ী চাইলেই তাদের বিরুদ্ধে কী কিছু করা যায়? তারা সংখ্যায় অনেক। বাস্তবতার নিরিখে চাইলেই ব্যবস্থা নেয়া যায় না। চালক-মালিকরা যখন অন্যায় করেন তখন সরকার ব্যবস্থা নিলে এর ফলে তারা রাস্তায় গাড়ি নামান না। তখন জনদুর্ভোগের পুরো দায়ভারটা মন্ত্রণালয়ের ঘাড়ে চাপে।

Advertisement

সরকার কি গণপরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যর্থ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, সফলতা-ব্যর্থতা দুটোই তো আছে। নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যবস্থা না নিলে আপনারা (সাংবাদিকরা) লেখেন, ‘সরকার নৈরাজ্য ঠেকাতে ব্যর্থ।’ আবার নৈরাজ্য ঠেকাতে রুট পারমিট বাতিল করতে গেলে মালিকরা একজোট হয়ে বাস নামায় না। তখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তখন আপনারা এর জন্য সরকারকে দোষারোপ করে লেখেন।

পরিবহন মালিকরা ফের সিটিং সার্ভিস চালুর পাঁয়তারা করছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেই বোঝা যাবে। তারা কী চায়, সেটি জানা যাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা ফিটনেসের কথা বলেন, তারাই আবার অন্যায়ভাবে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালান। এসবের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিলে তারাই গাড়ি বন্ধ করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেন।

মন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেন, গাড়ি মালিকদের ডাকলেও তারা প্রাথমিকভাবে আসেন না, অনেক পড়ে আসেন। এর সঙ্গে অনেক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে।

Advertisement

তবে আগের চেয়ে পরিস্থিতি অনেক ভালো বলে মত দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গতকালের (সোমবার) তুলনায় আজ রাস্তায় গাড়ি বেড়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম।

এমইউএইচ/জেডএ/পিআর/জেআইএম