আগামী অর্থবছরের বাজেটে নারীদের করমুক্ত আয়সীমা চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা। বর্তমানে নারীদের করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা।
Advertisement
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে নারী উদ্যোক্তারা এ প্রস্তাব দেন।
সভায় বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (বিডব্লিউসিসিআই) সভাপতি সেলিমা আহমাদ নারী উদ্যোক্তাদের পক্ষে বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এগুলো হচ্ছে নারী উদ্যোক্তা উন্নয়নে জাতীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স গঠন। একইসঙ্গে সরকার ঘোষিত থোক বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা চলমান রাখা, সবক্ষেত্রে ৪ শতাংশ ভ্যাট ও সিআইপি নির্ধারণে আলাদা কোটা। নারীদের ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়কর সীমা ৪ লাখ টাকা ও নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক বিক্রয়ের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ভ্যাট ও ভ্যাট মওকুফ করা।
Advertisement
এছাড়া নারী উদ্যোক্তা কর্তৃক ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আমদানিকৃত মেশিনারি পণ্যের ওপর কর মওকুফের প্রস্তাব করা হয়।
সভায় সেলিমা আহমাদ বলেন, নারী উদ্যোক্তারা অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করেন। আমরা ইতোমধ্যে ৬৪ জেলায় প্রায় ১০ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।
নারী উদ্যোক্তাদের আরো সামনে এগিয়ে নিতে এনবিআর’র কর ও ভ্যাট ব্যবস্থাপনা সহজ ও হয়রানিমুক্ত করা দরকার।
এ সময় সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সংগীতা নারী উদ্যোক্তাদের হয়রানি কমাতে এনবিআর’র প্রতিটি বিভাগে কর ও ভ্যাট আদায়ে নারীদের জন্য পৃথক হেল্প ডেস্ক চালুর দাবি জানান।
Advertisement
এনবিআর সদস্য (করনীতি) ইকবাল পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উইমেন চেম্বার, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ও ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/এমআরএম/এমএমএ/এমএস