তামাকের উপর শুল্ক হার বাড়িয়ে সরকার আরও ৮শ’ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ বাড়াতে পারে। এ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ফলে একদিকে তরুণ সমাজ তামাক সেবনে নিরুৎসাহিত হবে, অন্যদিকে বর্তমান ব্যবহারকারী তামাক ছাড়তে বাধ্য হবে। ফলে রাজস্ব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বাড়ানোসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন সহজ হবে।
Advertisement
সোমবার তামাকবিরোধী জোট প্রজ্ঞা আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। রাজধানীর প্লেনার্স টাওয়ারে আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে তামাক পণ্যের খুচরা মূল্যের উপর ২ শতাংশ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন চার্জ আরোপের দাবি করা হয়, যা বর্তমানে ১ শতাংশ হারে আরোপিত রয়েছে। এখান থেকে আদায়কৃত অতিরিক্ত রাজস্ব তামাক নিয়ন্ত্রণ ও অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় ব্যয় করারও পরামর্শ দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমান তামাক করকাঠামো পরিবর্তন করে সিগারেটের খুচরা মূল্যের উপর ৭০ শতাংশ, বিড়ি ও ধোঁয়াবিহীন তামাক(জর্দা ও গুল)পণ্যের উপর খুচরা মূল্যের ৫০ শতাংশ সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ করতে পারে। এর বাইরে বিদ্যমান একাধিক মূল্যস্তর ভিত্তিক ‘এড-ভ্যালুরেম’ কর প্রথা বাতিল ও কর ব্যবধান কমিয়ে সহজেই রাজস্ব আহরণ বাড়াতে পারে।
এর ফলে তামাক পণ্যের দাম বাড়বে। দাম বাড়লে প্রায় ৯০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বিড়ি সিগারেট সেবন ছাড়তে বাধ্য হবে। ৭০ লাখের অধিক তরুণ ধুমপান শুরু করা থেকে বিরত থাকবে। এছাড়া ধুমপানের কারণে সংঘটিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত প্রায় ৬০ লাখ লোক অকাল মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে।
Advertisement
মূল প্রবদ্ধে আসন্ন বাজেটের জন্য বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিগারেটের উপর কর আরোপের জন্য প্রচলিত মূল্য স্তর প্রথা পর্যায়ক্রমে তুলে দেয়া, সব ধরনের সিগারেটের উপর সুনির্দিষ্ট এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ, বিড়ির উপর উচ্চহারে এক্সাইজ ট্যাক্স আরোপ এবং ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্যের উপর ভিত্তি করে উচ্চ হারে করারোপ করা। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞা’র কো-অর্ডিনেটর হাসান শাহরিয়ার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জোবায়েরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এমএ/ওআর/পিআর