মোসাদ্দেক হোসেনের সৈকতের সেঞ্চুরিতে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল আবাহনী লিমিটেড। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেন মোসাদ্দকের এক সময়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সতীর্থ নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সেঞ্চুরিতে ভর করেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা দ্বিতীয় জয় পেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী।
Advertisement
আবাহনীর হয়ে লিগে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করলেন উদীয়মান ক্রিকেটার নাজমুল হাসান শান্ত। প্রথমটি মোসাদ্দেকের। এছাড়া চলতি প্রিমিয়ার লিগে সব মিলিযে এটি পঞ্চম সেঞ্চুরি। এর আগে সেঞ্চুরি করেছেন মোসাদ্দেক, নাসির হোসেন, মুশফিকুর রহীম ও নাঈম ইসলাম।
সোমবার সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে পারটেক্সের দেওয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি আবাহনী। দলীয় ১৮ রানে ভারতীয় রিক্রুট উদয় কাউলকে হারায় তারা। এরপর দলীয় ৪৩ রানে আরেক ওপেনার লিটন দাসও বিদায় নেন।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ১৫০ রানের জুটি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ জুটির পর অধিনায়ক বিদায় নিলেও মোসাদ্দেককে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন শান্ত।
Advertisement
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন উদীয়মান এই ব্যাটসম্যান। ১০৯ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৭৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। শেষ দিকে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন করেন অপরাজিত ২৩ রান। পারটেক্সের পক্ষে ১টি করে উইকেট নেন মামুন, হাফিজ ও রাজিবুল।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে পারটেক্স। জুবায়ের আহমেদের হাফসেঞ্চুরি ও সাজ্জাদ হোসেনের ঝড়ো ৪৪ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন জুয়ায়ের। ৬৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। আর ওপেনিংয়ে নেমে ৩৩ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন সাজ্জাদ।
এছাড়া ২৫ রান করে করেন জাকারিয়া মাসুদ ও অধিনায়ক তারিক আহমেদ। আবাহনীর পক্ষে ২টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও শুভাগত হোম। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও সানজামুল ইসলাম।
আরটি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement