বৈশাখের শুরুতেই হাওরে ধানকাটা শুরু হয়। এ সময়টাতে কৃষক পরিবারে দেখা দেয় উৎসবের আমেজ। কিন্তু চৈত্রের অকাল বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে হাওরের বিস্তীর্ণ মাঠের বোরো ধান। তাই হাওরজুড়ে এখন কৃষকের হাহাকার।
Advertisement
এরই মধ্যে ডুবে গেছে হাওরের প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর ফসলের জমি। আজও হাওরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে জেলার করিমগঞ্জের প্রয়াগ বিল হাওর ও ইটনার ঘরভাঙ্গার হাওর। এ দু’টি হাওরের বাঁধ ভেঙে সাড়ে সাতশ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় হাওরকে দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি উঠেছে।
এমন পরিস্থিতিতে রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। হেলিকপ্টার লোফ্লাইং করে কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, ইটনা, অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর ও করিমগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরে বিকেলে মিঠামইন জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কৃষকদের দুর্দশার কথা শুনেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় তিনি কৃষকদের দুঃসময়ে সব সময় পাশে থাকার ঘোষনা দেন।
Advertisement
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা করবে। হাওরে অকাল বন্যা থেকে ফসল রক্ষায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী আ. মান্নান, রাষ্ট্রপতির ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিকসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য বৃক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে হেলিকপ্টার লোফ্লাইং করে জেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত হাওর পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার রাতে মিঠামইন উপজেলা সদরের কামালপুর গ্রামে অবস্থিত নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল সোমবার সকালে হেলিকপ্টারে করে সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউজে রাতযাপন করবেন তিনি। পরদিন সকালে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
Advertisement
নূর মোহাম্মদ/আরএআর/জেআইএম