গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে আতাফল অন্যতম। এই ফলের ভেতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ। বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশটিকেই খেতে হয়। আতাফলের রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রজাতি ও প্রকরণ। কাঁচা ফল এবড়ো থেবড়ো গোলাকার, সবুজ বণের্র। পাকলে সুগন্ধ ছড়ায় এবং স্বাদ মিষ্টি। ফল উপকারী হলেও এর বীজ বিষাক্ত।পুষ্টিগুণ ১. আতা ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা একটি উন্নতমানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। এছাড়া ত্বকে বার্ধক্য বিলম্বিত করে।২. এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।৩. আতা ফলের ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশির জড়তা দূর করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।৪. এর পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।৫. এর খাদ্যআঁশ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে।৬. আতাফলের খাদ্যউপাদান এনিমিয়া প্রতিরোধ করে।ঔষধি গুণ ১. আতাগাছের শেকড়ের ছাল আমাশয়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।২. আতাফলের শাঁসের রস রক্তের শক্তি বৃদ্ধিকারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।৩. অপুষ্টিজনিত সমস্যায় আতাফলের রসের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।৪. যে ফোঁড়া পাকেও না আবার বসেও না, এমন ফোঁড়ায় আতার বীজ বা পাতা বেটে সামান্য লবণ মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ফোঁড়া পেকে পুঁজ বের হয়ে যায়।৫. পাতার রস উকুননাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এইচএন/আরআইপি
Advertisement