সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় এবারও হারিছ চৌধুরীর মালামাল ক্রোক করতে পারেনি পুলিশ। তার ঢাকার বাসা সিলগালা থাকায় স্থায়ী ঠিকানা সিলেটের জকিগঞ্জের বাড়িতে ক্রোকাদেশ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিশাত সুলতানার আদালত সংশ্লিষ্ট থানাকে এ নির্দেশ দেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, ৮ এপ্রিল একই আদালত খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও হাফেজ মাওলানা এয়াহিয়ার মালামাল ক্রোকের আদেশ তামিল না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানোর আদেশ দেন। নোটিশ পেয়ে ঢাকার গুলশান থানার এসআই আসাদ সোমবার আদালতে হাজির হন। তিনি আদালতকে জানান, অভিযোগপত্রে আসামিদের যে ঠিকানা দেয়া হয়েছে সেখানে তাদের কোন অস্তিত্ব নেই। তখন বিচারক হারিছ চৌধুরীর স্থায়ী ঠিকানায় এ ক্রোকাদেশ তামিল করার নির্দেশ দেন।সোমবার নির্ধারিত তারিখে ওই মামলায় কারাগারে আটক সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও হবিগঞ্জের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র জি কে গউছসহ অন্যান্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়নি। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা মামলার প্রথম চার্জশীটভূক্ত ৮ আসামির মধ্যে ৭ জন আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়েছেন। ১৩ মে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ ৫ জন। এতে আহত হন বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এমপিসহ ৪৩ জন। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মজিদ খান এমপি বাদি হয়ে সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিস্ফোরক মামলাটি তদন্ত করছেন সিলেটের সিআইডির সিনিয়র এএসপি মেহেরুন্নেছা পারুল।এসএস/আরআই
Advertisement