দেশজুড়ে

ভূমিকম্পে সোজা হলো আরেক শিশুর পা

ভূমিকম্পে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে অলৌকিকভাবে মোছা. সাদিয়া (৯) নামের এক প্রতিবন্ধী শিশুর বাঁকা পা সোজা হয়ে গেছে। জন্ম থেকেই শিশুটির পা বাঁকা ছিল। এখন সে স্বাভাবিকভাবে পায়ের পাতা দিয়ে হাঁটতে পারছে। এর আগে শনিবারের ভূমিকম্পে ঠাকুরগাঁওয়ের সবুজের (৫) পায়ের গিরা সোজা হয়ে গিয়েছিল।সাদিয়া বীরগঞ্জ পৗর শহরের থানা পাড়ার মো. আলমের কন্যা এবং ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।শিশুটির পিতা মো. আলম জাগো নিউজকে জানান, জন্ম থেকেই সাদিয়ার ডান পা এবং হাত ছিল বাঁকা। তাই সে পুরো পা পেতে হাঁটতে পারতো না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটা চলা করতো। চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ডাক্তার, কবিরাজ ও হেকিমের শরণাপন্ন হলেও ফল পাওয়া যায়নি।রোববার দুপুরে ভূমিকম্প শুরু হলে তার মা-বাবা বাঁকা পা মাটিতে চেপে ধরে থাকেন। এতে অলৌকিকভাবে তার পা সোজা হয়ে যায়। বর্তমানে শিশুটি মাটিতে পায়ের পাতা ফেলে হাঁটতে পারছে।এ ব্যাপারে মেয়েটির মা মোছা. রোকসানা জাগো নিউজকে জানান, একদিন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় সাদিয়ার এই অবস্থা দেখে বাসে পাশের সিটে বসা এক বৃদ্ধা ভূমিকম্পের সময় মাটিতে পা চেপে রাখার পরামর্শ দেন। বৃদ্ধার পরমর্শে রোববার তিনি শিশুটির পা মাটিতে চেপে ধরেন এবং ভূমিকম্প শেষে অলৌকিকভাবে তার পা ভালো হয়ে যায়।প্রতিবেশী দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বীরগঞ্জ অঞ্চলের পরিচালক মো. আইয়ুবুল ইসলাম মিন্টু জাগো নিউজকে জানান, আমি জন্ম থেকেই  মেয়েটির একটি হাত এবং একটি পা বাঁকা দেখে আসছি। কিন্তু আজ মেয়েটিকে বেশ স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখে আমি অবাক হয়ে গেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত সাদিয়ার পরিবারের কাছে জানতে পেরে বিষয়টি আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে।ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুল ইসলাম দুলাল জাগো নিউজকে জানান, মেয়েটি রোববার সকালেও অনেক কষ্ট করে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তার স্বাভাবিক হাঁটা-চলা করার বিষয়টি জানতে পেরে আমি স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার কাছে মিরাক্কেল মনে হয়েছে।বীরগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মীর কাশেম লালু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি বিষয়টি বিশ্বাস করতে না পেরে নিজেই সাদিয়াকে দেখতে তাদের বাড়িতে যাই। তবে বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আমার কাছে মনে হয়েছে ভূমিকম্প মেয়েটির জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছিল।এমজেড/আরআই

Advertisement