মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা ও গাইবান্ধার সাবেক এমপি আবু সালেহ মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ৮ মে দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
Advertisement
আজিজ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মো. রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু (৬১), মো. আব্দুল লতিফ (৬১), আবু মুসলিম মোহাম্মদ আলী (৫৯), মো. নাজমুল হুদা (৬০) ও মো. আব্দুর রহিম মিঞা (৬২)। আসামিদের মধ্যে লতিফকে গ্রেফতারের পর ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাগারে দেন। বাকিরা পালাতক।
ট্রাইব্যুনালের নির্ধারিত দিনে আজিজসহ আসামিদের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা থাকলেও তা অনুষ্ঠিত হয়নি। আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের তিনজন বিচারপতির উপস্থিতিতে মামলার রায় এবং অপরাধ আমলে নেয়া এবং যুক্তি খণ্ডন করার বিধান। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন বিচারপতি ছুটিতে থাকায় মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন পিছিয়ে আগামী ৮ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রোববার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নতুন এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউর সৈয়দ হায়দার আলী, সায়েদুল হক সুমন ও শেখ মোশফেক কবির প্রমুখ। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
পরে সায়েদুল হক সুমন জাগো নিউজকে জানান, আজ নির্ধারিত দিনে ছয় আসামীর বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হওয়ার কথাছিল। কিন্তু একজন বিচারক উপস্থিত না থাকায় আগামী ৮ মে আর্গুমেন্ট শুরু করার পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত।
তিনি আরও জানান, এর আগে মামলায় প্রসিকউশনের আনা রাষ্ট্রপক্ষের ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করে আদালত। এদের মধ্যে দুই জন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ছাড়া বাকি ১৩ জন সাক্ষী ছিল।
তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন- হেলাল উদ্দিন ও আলতাফ হেসেন। তার আগে আসামি আজিজসহ গাইবান্ধার ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ছয়জনকে গ্রেফতারের জন্য ২৩ নভেম্বর আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল তাদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। কিন্তু আজিজসহ সব আসামিদের পলাতক দেখিয়েই আদালতে এ মামলার কার্যক্রম বিচারিক কাজ শুরু করে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজ মিয়া ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত চার দলীয় জোটের অধীনে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ-১ আসনে এমপি ছিলেন।
২০০৯-১৩ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে দুটি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাসহ ১৩টি মামলা হয়। ২০১৩ সালে সুন্দরগঞ্জ থানায় চার পুলিশ সদস্য হত্যামামলায় অন্যতম আসামি এই আজিজ।
এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম