বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখ আসে অন্যরকম স্বপ্ন আর অমিত সম্ভাবনার ফুলঝুড়ি নিয়ে। জরা ও জীর্ণ, দীনতা ও নীচতাকে পদতলে পিষ্ট করে সুন্দরের পথে অবিরাম হাঁটার ও শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চার অঙ্গীকারের দিন বৈশাখ। কয়েশ’ বছর ধরে জীবনের নানা অনুষঙ্গকে ধারণ করে এ দিনটি বাঙালিরা উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে উদযাপন করে আসছে। নতুন দিনের কেতন ওড়ানো পহেলা বৈশাখের গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন হালখাতা ও বৈশাখী মেলা। ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আকবর বাদশার দরবার থেকে বাংলা সনের উদ্ভবের পরপরই বৈশাখের প্রথম দিনকে উদযাপন করে আসছে কৃষক ও মেহনতি মানুষেরা। বৈশাখ উদযাপনের অনুষঙ্গ হিসেবে পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছিলো বৈশাখী মেলা। দল-মত-বর্ণ নির্বিশেষে পহেলা বৈশাখ উদযাপনে সার্বজনীন উৎসবের যে রূপ আমরা দেখতে পাই, বৈশাখী মেলা সেই রূপকে ব্যপ্ত ও পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করে। শুরুর দিক থেকেই বৈশাখী মেলা ছিলো বৈশাখ উদযাপনের প্রধান মাধ্যম। মেলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘আমাদের দেশ প্রধানত পল্লীবাসী। এই পল্লী মাঝে মাঝে আপনার বাড়ির মধ্যে বাহিরের বৃহৎ জগতের রক্ত চলাচল অনুভব করিবার জন্যে উৎসুক হইয়া উঠে। তখন মেলাই তাহার প্রধান উপায়। এই মেলায় আমাদের দেশে বাহিরকে ঘরের মধ্যে আহ্বান করে। এই উৎসবে পল্লী আপনার সমস্ত সংকীর্ণতা বিস্মৃত করে। তাহার হৃদয় খুলিয়া দান গ্রহণ করিবার এই প্রধান উপলক্ষ্য।’
Advertisement
ধারণা করা হয়, ১৮৬৪ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে প্রথমবারের মতো পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান করা হয়। মধ্যযুগে বৈশাখী মেলার ইতিহাস স্বচ্ছ নয়। তবে এ মেলার যে বহুল প্রচলন ছিলো সেটি স্বীকৃত বিষয়। আধুনিককালে এসে বৈশাখী মেলা শহরে ব্যাপকভাবে প্রবেশ করে। ১৯৭৭ সালে সাহিত্যপত্র ‘সমকাল’-এর সহযোগিতায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথম বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলা আয়োজনে বরেণ্য চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান, ফোকলোরবিদ শামসুজ্জামান খানসহ আরো অনেকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এই মেলার নানামুখী উদ্দেশ্য ছিলো। যার মধ্যে প্রথম ও প্রধানতমটি হলো : বাঙালির ঐতিহ্যকে নাগরিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই চেষ্টা যে ভালোভাবেই সফল হয়েছিলো তা পরবর্তী সময়ে রাজধানীর আরো নানাবিদ স্থানের বৈশাখী মেলার আয়োজন দেখে সহজেই অনুধাবন করা যায়। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনও তিনযুগের বেশি সময় ধরে বৈশাখী মেলার আয়োজন করে আসছে।
আগে দু-তিন গ্রামের সীমান্তবর্তী স্থানে, অথবা নদীর ধারে, বটতলায় বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হতো। এসব মেলায় নামতো হাজার হাজার মানুষের ঢল। মেলায় থাকতো কাঁচের চুড়ি, রঙ-বেরঙের ফিতা, তাঁতের শাড়ি, নকশা করা হাতপাখা, কামার ও কুমোরের দোকান, মুড়ি-মুড়কি-খই, সন্দেশ, বাতাসা, মিষ্টি, মাটির তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘুড়ি, নাটাই, গুলতি, অলংকার, তৈজসপত্র, বেলুন, বাঁশি, ফলমূল ইত্যাদি। আর বিনোদনের জন্যে থাকতো নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, জারি-সারি-ভাটিয়ালি গানের আসর, কবিগান, ষাড়ের লড়াই, লাঠিখেলা, পুতুল নাচ, নৌকা বাইচ, কুস্তি খেলা ইত্যাদি। কোথাও কোথাও বসতো জুয়ার আসরও! বৈশাখী মেলার শিশু-কিশোরদের প্রধান আকর্ষণ ছিলো নাগরদোলা ও বায়োস্কোপ। নাগরদোলার প্রচলন এখনো টিকে থাকলেও বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বায়োস্কোপকে এখন আর দেখা যায় না।
গ্রামের মানুষেরা নতুন দিনের আনন্দে বৈশাখী মেলায় কেনাকাটা করতে যেতো। নারীদের জন্যও বৈশাখী মেলা ছিলো আনন্দের। বৈশাখী মেলা থেকে গৃহকর্তারা তাদের জন্যে শাড়ি, চুড়ি, ফিতা কিনে আনতেন। নতুন খেলনা পেত শিশুরা। আবার কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষদের জন্যও এ মেলা ছিলো প্রাণের মেলা। যদিও এর সঙ্গে তাদের জীবন ও জীবিকার তাগিদ তীব্র ছিলো। তাদের হাতের তৈরি তৈজসপত্র বিক্রির উৎসবক্ষেত্রও বৈশাখী মেলা। বর্তমানে এ ব্যবস্থা আরো বিস্তৃত হয়েছে। তাই বৈশাখী মেলা এখন কেবল ঐতিহ্যের মেলাই নয়, এটি এখন অর্থনীতি গতিপথের বিশিষ্ট মাত্রাও বটে। বৈশাখী মেলার মধ্যদিয়ে তাঁতি, কামার, কুমোর, ছুতার, হস্ত, কুটির শিল্পীরা অর্থনৈতিক আলোর মুখ দেখে। তাই এ শ্রেণির মানুষদের জন্যও যে বৈশাখী মেলা তাৎপর্যবহ— তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Advertisement
ঢাকার বৈশাখী মেলার প্রাণকেন্দ্র ধরা যেতে পারে রমনার বটমূলকে। রমনার বটমূলকে কেন্দ্র করে শাহবাগ, সোহওয়ার্দী উদ্যান, দোয়েল চত্বর, টিএসসি এলাকায় দেশি খাবার ও পণ্যের পসরা সাজায় দোকানিরা। এর বাইরে ঢাকার নিকটবর্তী শুভাঢ্যার বৈশাখী মেলা, সোলারটেক মেলা, শ্যামসিদ্ধি মেলা, ভাগ্যকুল মেলা, টঙ্গীর স্নানকাটা মেলা, মিরপুর দিগাঁও মেলা, রাজনগর মেলা ও কুকুটিয়া মেলা উল্লেখযোগ্য। বৈশাখী মেলা কেবল ‘বৈশাখী মেলা’ নামেই নয়, আরো অনেক নামে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এ মেলা কোথাও ‘বর্ষবরণ মেলা’, কোথাও ‘নববর্ষ মেলা’ আবার কোথাও ‘বান্নি মেলা’ নামে পরিচিত। বিভিন্ন জেলা শহরে ও গ্রামে বৈশাখী মেলার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এসব মেলা বহু আগে থেকেই বর্তমান সময় পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে।
কোন স্থানের বৈশাখী মেলা কবে থেকে শুরু হয়েছে তার স্বচ্ছ ইতিহাস না থাকলেও ধারণা করা হয়, কোনো কোনো বৈশাখী মেলার বয়স একশ’ বছর বা তার বেশি। বৈশাখ উপলক্ষে আয়োজিত সোনারগাঁওয়ের ‘বউমেলা’র কথা এ প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে। এ মেলাকে স্থানীয়রা ‘বটতলার মেলা’ বলে আখ্যায়িত করে। এলাকাবাসীর ধারণা, এ মেলা এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে এ মেলা শুরু হয়ে ৫ বৈশাখে শেষ হয়। আবার সোনারগাঁও থানার পেরাব গ্রামের পাশে অনুষ্ঠিত হয় ‘ঘোড়া মেলা’। এ মেলার একটি ব্যতিক্রম দিক হচ্ছে, মেলা চলাকালীন সময়ে নৌকার ভেতর খিচুড়ি রান্না করা হয়। তারপর কলাপাতায় সেই খিচুড়ি সবাইকে পরিবেশন করা হয়। দিনাজপুরের ফুলতলী, রাণীশংকৈল, রাজশাহীর শিবতলীর বৈশাখী মেলাও বর্তমানে বিরাট উৎসবের রূপ নিয়েছে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মহেশপুর, সাভার, রংপুরের পায়রাবন্দ, দিনাজপুরের ফুলছড়িঘাট এলাকা, মহাস্থানগড়, মণিপুর, বরিশালের ব্যাসকাঠি-বাটনাতলা, গোপালগঞ্জ, খুলনার সাতগাছি, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর, মানিকগঞ্জ, ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল অঞ্চল, সিলেটের জাফলং, মাদারীপুর, টুঙ্গীপাড়া ও মুজিবনগর এলাকায়ও ব্যাপৃত আকারে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন জেলা ও গ্রামে অনুষ্ঠিত এসব অসংখ্য বৈশাখী মেলা মানুষদের দীর্ঘদিন ধরে বিনোদন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দিয়ে আসছে। দেশের বাইরে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বৃহৎ পরিসরে ‘বৈশাখী মেলা’র আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতিবছরই এ মেলাটি সিডনি অলিম্পিক পার্কে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রবাসী বাঙালিদের জন্যে এ মেলা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এবং আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে। ইংল্যান্ডের লন্ডনেও বৈশাখ উপলক্ষে প্রবাসী বাঙালিদের আয়োজনে ‘পথ উৎসব’ বা ‘স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল’ করা হয়। এ উৎসবকে ইউরোপে অনুষ্ঠিত সর্ববৃহৎ এশীয় উৎসব বলা হয়ে থাকে।
গ্রামীণ সমাজ থেকে বৈশাখী মেলা শুরু হলেও বর্তমানে বৈশাখী মেলার উপকরণ ও উদযাপনে ভিন্নতা এসেছে। নাগরিক জীবন পহেলা বৈশাখে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে নতুন মাত্রা যোগ করতে গিয়ে আমাদের ঐতিহ্যের যাতে বিকৃত উপস্থাপন না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা বাঞ্ছণীয়। বর্তমানে যারা পঞ্চাশোর্ধ্ব জীবন যাপন করছেন তারা বৈশাখী মেলার প্রকৃত রূপ দেখতে পেয়েছেন। তাদের কাছে বৈশাখী মেলা উল্লেখযোগ্য স্মৃতি হিসেবে অক্ষত আছে। প্রবীণ লেখক মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ তাঁর বৈশাখী মেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘গরিবরা সারা বছর এই মেলার জন্য অপেক্ষা করতো। তাদের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম ছিল এসব মেলা। ...আমাদের গ্রামীণ মেলায় গান-বাজনা তুলনামূলকভাবে কম হতো। গ্রামীণ ও লোকজ সংস্কৃতির প্রদর্শনীর ব্যাপারটাই ছিল প্রধান।’ আর ঢাকার বৈশাখী মেলা সম্পর্কে একই লেখায় তিনি লিখেছেন, ‘সুদীর্ঘকাল ঢাকায় অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, বাংলা নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে এখানে যে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, তার ধরন গ্রামীণ মেলা থেকে অনেকটা ভিন্ন। ঢাকায় তথা মহানগরীতে যে বৈশাখী উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়, তাতে লোকজ সংস্কৃতির এবং শিল্পকর্মের প্রদর্শনী হলেও প্রাধান্য বিস্তার করে আছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য কার্যক্রম।’
পহেলা বৈশাখ ও বৈশাখী মেলা ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে বাঙালির প্রাণের উৎসব ও প্রাণের মেলা হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন। নানা প্রতিকূলতায়ও বাঙালিরা এ মেলা উদযাপন করেছে, আনন্দ-উল্লাস করে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু এখনো কিছু মানুষ বৈশাখী মেলাকে ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে বিচার করতে চান। এ বিচার বিবেচনা কেবল বাংলাদেশ রাষ্ট্র হবার পরে নয়, আগেও করা হয়েছিলো। কিন্তু প্রাণের উৎসব থেমে থাকেনি। কারো ‘হিন্দুয়ানি’ অনুষ্ঠান বলায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন বন্ধ হয়ে যায়নি। এ প্রসঙ্গে আহমদ রফিকের ‘বাঙালীর শ্রেষ্ঠ সেক্যুলার জাতীয় উৎসব বাংলা নববর্ষ’ প্রবন্ধের কিছু কথা টেনে আনা যেতে পারে। তিনি লিখেছেন, ‘আমরা নির্দ্বিধায় বলি বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বাঙালীর শ্রেষ্ঠ বা সর্বোত্তম জাতীয় উৎসব। একে বাঙালী সংস্কৃতির ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। তা বাংলাদেশের রাজনীতিতে, এর শাসনযন্ত্রে যত পরিবর্তনই ঘটুক। শুধু দুই-মিষ্টি খাইয়ে একে ধরে রাখা যাবে না। রাখতে হবে হৃদয় ও মননের আন্তরিকতায়, ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব পালনে। বাংলা নববর্ষ তথা পয়লা বৈশাখকে আমি এভাবেই দেখি। দেখি যুক্তিতে, আবেগে গ্রাম-নগরের একাত্মতায়, ঐতিহ্যিক সেতুবন্ধনে। ধর্মীয় হেফাজতের নামে এখানে কোনো বাধা নিষেধ আরোপ কেউ মানবে না। তেমন চেষ্টা তো বিশ শতকের প্রথমার্ধে ধর্মীয় অজুহাতে, পরে রাজনৈতিক উন্মাদনায় অনেক চলেছে। কিন্তু তাতে বড় একটা কাজ হয়নি, স্থায়ী সুফল ফলেনি। বাংলা নববর্ষ পয়লা বৈশাখ বরাবরই বাঙালী চৈতন্যে আনন্দের উৎস হয়ে থাকবে উৎসবে-অনুষ্ঠানে, উদযাপনে।’
Advertisement
পহেলা বৈশাখ উদযাপনে আমাদের জাতীয় চেতনা ও ঐতিহ্যের সামগ্রিক প্রতিচ্ছবির দেখা মেলে। একদিকে যেমন উৎসবে মেতে ওঠে নবীন-প্রবীণ, শিশু ও কিশোররা; অন্যদিকে নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মও পরিমার্জিত ধারণা লাভ করতে পারে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বাঙালির যে হাজার বছরের ঐতিহ্য তা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ধারণ ও লালন করা সহজতর হবে। তবে বৈশাখী মেলার নামে অপসংস্কৃতি চর্চা কারোই কাম্য নয়। শিকড়সম্বলিত আত্মার টান, উৎসবের মুখরতায় আমাদের ঐতিহ্যের যথাযথ চর্চা ও উদযাপন হবে— এমন প্রত্যাশাটুকু থাকবে সচেতন বাঙালিদের, এটাই স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকত্ব বজায় রেখে জাতিগত চেতনায় ঋদ্ধ হয়ে, সম্প্রীতি-বন্ধন অটটু রেখে বাংলাদেশকে নিয়ে এগিয়ে যাবার দায়িত্ব আমাদের সবার।
লেখক : কবি ও কথাসাহিত্যিক।
এসইউ/এমএস