জাতীয়

শেরেবাংলার মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা ও অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৭ এপ্রিল। ১৯৬৩ সালের এই দিনে এ মহান নেতার মৃত্যু হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাতীয় এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার মরহুমের মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ এবং পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ প্রভৃতি কর্মসূচি পালিত হবে। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩) এবং পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের পদ (১৯৫৬-১৯৫৮)সহ বহু উচ্চ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি বাকেরগঞ্জ জেলার সাটুরিয়ায় ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার পূর্বপুরুষদের বাড়ি ছিল বরিশাল শহর থেকে চৌদ্দ মাইল দূরে চাখার গ্রামে। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মুহম্মদ ওয়াজিদ ও সায়িদুন্নিসা খাতুনের একমাত্র পুত্র।রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণীরাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অসাধারণ প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক নেতা। প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এদেশের কৃষক শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ কে ফজলুল হক-এর অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। আমি এ মহান নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেরেবাংলা এ কে ফজলুর হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বাংলার কৃষক ও মেহনতি জনতার অকৃত্রিম বন্ধু শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। শেরেবাংলা এদেশের কৃষকদের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার নেতৃত্বে গড়ে ওঠা আন্দোলনের ফলেই দেশে প্রজাস্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি কৃষক সমাজ সামন্তদের শোষণ থেকে মুক্ত হয়। আমি মহান আল্লাহর দরবারে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।এআরএস/এমএস

Advertisement