বর্ষবরণের নানা আয়োজনের কেন্দ্রে ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতিবছরের মতো এবারও এ আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।
Advertisement
‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রায় বাঙালির সঙ্গে মেতে ছিলেন বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরাও। শুক্রবার পহেলা বৈশাখে দিনভর বর্ষবরণের অন্যান্য আয়োজনেও রয়েছে তাদের উপস্থিতি।
বর্ণাঢ্য এ উৎসবে বাঙালিদের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হচ্ছেন ভিনদেশিরা। বাঙালির একান্তই নিজস্ব এ সাংস্কৃতিক উদযাপনকে উপভোগের পাশাপাশি অংশগ্রহণও করছেন তারা।
অমঙ্গলকে দূর করে ও চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যের সম্মিলনে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে এবারই প্রথম শোভাযাত্রা করেছে বাঙালি।
Advertisement
বিশ্ব ঐতিহ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় এবার অংশ নিয়েছেন বেলারুশের নাগরিক জেসিফা মিলানা। বললেন, ‘বর্ষবরণের এতো জাঁকজমক উদযাপন বিশ্বে বিরল। অনেক অনুষ্ঠানে আমি যোগ দিয়েছি কিন্তু এতো প্রাণবন্ত ও স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ কোথাও দেখিনি।’
জেসিফা মিলানা বলেন, ‘ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনও অনেক সুন্দর। তবে ইংরেজি বর্ষবরণের সঙ্গে বাংলা নববর্ষের অনেক ফারাক রয়েছে। এখানে আলাদা একটি সংস্কৃতি রয়েছে, যা এখানকার লোকেরা লালন করছে বহু বছর ধরে।’
বর্ষবরণের উৎসবে যোগ দিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় এসেছেন জেসিফা। পাঁচ সদস্যের একটি দল নিয়ে ঢাকায় এসেছেন তিনি। এর মধ্যে ইউরোপের কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন। এ দলটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাংস্কৃতিক উৎসবে অংশ নেয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙালির স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ দেখে মুগ্ধ সুইডেনের নাগরিক মিলান স্টুয়ার্ড। বললেন, পহেলা বৈশাখ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, রবীন্দ্রনাথ-নজরুল এসব সম্পর্কে আমি ইন্টারনেটে অনেক পড়েছি। সেই ভালোলাগা থেকেই বাংলাদেশের এই উৎসব দেখতে এসেছি।
Advertisement
এর আগে সকাল ৯ টা ৬ মিনিটে চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয় পহেলা বৈশাখের ঐতিহাসিক আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় বারোটি বড় কাঠামোসহ অসংখ্য পেপার মাস্কের সমারোহ তুলে ধরা হয়। শোভাযাত্রায় স্বতঃফূর্তভাবে অংশ নেন শিক্ষক, ছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
এএস/এএসএস/এমএম/জেইউ/এমএমএ/পিআর