জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড-এর (সিআরপি) সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সঙ্গে সিআরপির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দ্বিপাক্ষিক শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এ সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বাবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ভেলরি এ. টেইলরের আমন্ত্রণে সাভারস্থ সিআরপি পরিদর্শন করেন। বিকেলে উপাচার্য সিআরপিতে পৌঁছলে ভেলরি এ. টেইলর এবং সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিক উল ইসলাম উপাচার্যকে স্বাগত জানান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, কথাসাহিত্যিক আখতার হোসেন উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন।সিআরপির সম্মেলন কক্ষে সিআরপির প্রথম উপাচার্যের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে শুরু করে সিআরপির অগ্রযাত্রার ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় সিআরপির চিকিৎসা ও শিক্ষাকার্যক্রম সম্পর্কে উপাচার্যকে অবহিত করা হয়।পরে উপাচার্যকে সিআরপির চিকিৎসা সেবা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ও ভৌত অবকাঠামো দেখানো হয়। উপাচার্য সিআরপিতে ভর্তি থাকা রোগীদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং তাদের চিকিৎসার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান।সিআরপির নির্বাহী পরিচালক শফিক উল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, দেশের ব্যাপক সংখ্যক পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ সুস্থ হওয়ার আশা নিয়ে প্রতিনিয়ত সিআরপিতে ছুটে আসেন। সিআরপির চিকিৎসকদলের নিরলস সেবায় তাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।তিনি আরো জানান, ২৪ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে সাভারে রানা প্লাজা ধসে মেরুদণ্ডে মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত ৬৮ জন রোগী সিআরপিতে ভর্তির পর ৬৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। উপাচার্য সিআরপির সেবার প্রশংসা করেন এবং মানবতার কল্যাণে ভেলরি এ. টেইলর এবং সিআরপির অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের ভূমিকা অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেন।এমজেড/এমএএস/আরআই
Advertisement