আইন-আদালত

আনসার বিদ্রোহ: চাকরি হারাদের পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়

১৯৯৪ সালে আনসার বিদ্রোহে অংশ নেয়ার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়াদের মধ্যে যাদের বয়স ও শারীরিক সক্ষমতা রয়েছে তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

তবে যাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে- তাদের চাকরিতে থাকাকালে সময়ের পেনশনসহ সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এ বিষয়ে জারি করা রুলের যথায়থ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আনসার সদস্যদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সূচীরা হোসাইন ও প্রতিকার চাকমা শুনানিতে অংশ নেন।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে আনসার বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে বিদ্রোহের রূপ নেয়।

পরে সেনাবাহিনী বিদ্রোহ দমন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর কিছু সংখ্যক আনসার সদস্য পলাতক হয়।

এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে বিদ্রোহে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ হজার ৪৯৬ জন আনসার সদস্যকে অ-অঙ্গীভূত (চাকরিচ্যুত) করা হয়।

পরে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে করা হয় ফৌজদারি মামলা। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে মামলার অভিযোগ থেকে আনসার সদস্যরা খালাস পান।

Advertisement

এ ঘটনায় চাকরি পুনর্বহাল ও প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন চাকরিচ্যুত রুহুল আমিন, মোজাম্মেল হকসহ ২৮৯ জন।

রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ১২ অক্টোবর আনসার সদস্যদের চাকরিচ্যুত কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন।

রিটকারীদের আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জাগো নিউজকে জানান, হাইকোর্টের এ আদেশ শুধু রিটকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে অন্যরা হাইকোর্টে আবেদন করে এ সুযোগ নিতে পারবেন।

এফএইচ/এমএমএ/জেআইএম