সময়টা ভালোই কাটছে নাসির হোসেনের। ইমার্জিং এশিয়া কাপে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এর আগে বিসিএলে করেছিলেন ডাবল সেঞ্চুরি। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করেই ৭৮ বল বাকি থাকতে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সাভারের বিকেএসপিতে ২২১ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি গাজী গ্রুপ। দলীয় ২৫ রানেই জহুরুল ইসলাম ও মমিনুল হককে হারায় তারা। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এনামুল হক বিজয় ও নাসির হোসেন।
দলীয় ৭৯ রানে বিজয়কে আউট করে ম্যাচে ফিরে আসে মোহামেডান। তবে নাসির হোসেনের দৃঢ়তায় আর পেরে ওঠেনি দলটি। ভারতীয় ব্যাটসম্যান পারভেজ রসুলকে নিয়ে হার না মানা ১৪৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নাসির।
শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির। ১০৬ বলের ইনিংসটি ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা দিয়ে সাজান তিনি। এছাড়া বিজয় ৫৪ ও রসুল অপরাজিত ৫৩ রান করেন। মোহামেডানের পক্ষে ৬১ রানে ২টি উইকেট পান তাইজুল ইসলাম।
Advertisement
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে মোহামেডান। ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবালের অভাবটা হাড়ে হাড়ে টের পায় তারা। দেশসেরা এ ওপেনারকে ছাড়া খেলতে নেমে ছন্নছাড়া ছিল ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির ব্যাটিং।
৭৮ রানেই দলের সেরা চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে দারুণ চাপে পরে দলটি। তবে পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন আফগানিস্তান রিক্রুট রহমত শাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ১১৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখান এ দুই ব্যাটসম্যান।
তবে দলীয় ১৯৬ রানে বড় ধাক্কা খায় মোহামেডান। রান আউটে কাটা পড়েন দারুণ ছন্দে থাকা রহমত শাহ। আর তার বিদায়ের পর হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যায় দলটির ব্যাটিং। এরপর আর মাত্র ২৪ রান যোগ করতে পারে দলটি। বিনিময়ে হারায় আরও ৪টি উইকেট।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন রহমত। ৯১ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এর রান করেন তিনি। এছাড়া ৭০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। গাজীর পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আলাউদ্দিন বাবু ও মেহেদী হাসান।
Advertisement
আরটি/এনইউ/জেআইএম