মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় শিগগিরই জাতীয় মেধাসম্পদ নীতি কৌশল চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী এ কথা বলেন।তিনি বলেন, মেধা সম্পদ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় শক্তিশালী জাতীয় নীতিমালা ও কৌশল প্রয়োজন থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি উপেক্ষিত ছিল। বর্তমান সরকার এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার সহায়তায় জাতীয় মেধাসম্পদ নীতি কৌশল প্রণয়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে আলোচনা করে শিগগিরই এটি চূড়ান্ত করা হবে।আমির হোসেন আমু বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে শিল্প সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য দেশেই প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও পণ্য উদ্ভাবনের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও উন্নয়নের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মেধাসম্পদের সুরক্ষায় আইন কাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে জাতীয় শিল্পনীতি ২০১০ এ নতুন উদ্ভাবন ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের সুরক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, শিল্পনীতির আলোকে দ্রুত নতুন উদ্ভাবনের নিবন্ধন প্রদানের জন্য পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে। ট্রিপস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে মেধাসম্পদ সম্পর্কিত আইনের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন আইন যেমন- ট্রেডমার্কস আইন, কপিরাইট আইন ইত্যাদি আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে।এছাড়াও, বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার সহায়তায় পেটেন্টস ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর এবং কপিরাইট অফিস একীভূত করে একটি সমন্বিত বাংলাদেশ ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিস (বিআইপিও) প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। এখান থেকে সেবা গ্রহীতাদের ওয়ান স্টপ সেবা দেয়া হবে।‘সঙ্গীতের চেতনায় জেগে উঠুন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস-২০১৫ উদযাপন করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. ফরহাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, পেটেন্টস, ডিজাইনস ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ইলিয়াস ভূইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের অধ্যাপক বেগম নাসরিন ইলা প্রমুখ।আরএস/আরআই
Advertisement