একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজ নিজ সংসদীয় আসনের উন্নয়নে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পাচ্ছেন এমপিরা। এর আগে চলমান প্রকল্প থেকে প্রতি বছর গড়ে চার কোটি টাকা করে পেতেন তারা। এবার তা বেড়ে হচ্ছে ছয় কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এজন্য আগামী বাজেটে এমপিদের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
Advertisement
পরিকল্পনা কমিশনে এ সংক্রান্ত চিঠিও পাঠিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট হবে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট। এ বাজেটে এমপিরা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বেশি মনোযোগী হন। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। তাই তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ অতিরিক্ত বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তবে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের জন্য এর বাইরে আলাদা ব্যবস্থা থাকবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, এমপিদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০১০ সালের ১০ মার্চ একনেক সভায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন শিরোনামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় চার হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। এমপিদের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ছিল ১৫ কোটি টাকা।
Advertisement
এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের মে মাসে একনেক সভায় ‘অগ্রাধিকারভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (দুই)’ শিরোনামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। যেখানে ব্যয় ধরা হয় ছয় হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে তারা পান ২০ কোটি টাকা করে। কিন্তু এ অর্থ বরাদ্দ পেয়েও সন্তুষ্ট নন তারা। তাই চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আরও দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ জাগো নিউেজকে বলেন, এ প্রকল্প অনুমোদনের পর এখন পর্যন্ত এক হাজার ৯০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। তবে আগামী বাজেটে এ প্রকল্প থেকে বেশি টাকা ছাড় করতে দাবি জানিয়েছেন এমপিরা। এজন্য আগামী বাজেটের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা চেয়েছি। পরিকল্পনা কমিশনে ইতোমধ্যে চিঠি দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, সাধারণত এমপিদের নির্বাচনী এলাকায় তাদের দেয়া তালিকার ভিত্তিতে অর্থ ব্যয় করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এমপিরা প্রকল্পের আওতায় উপজেলা থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যন্ত সড়ক ও কালভার্ট নির্মাণের যে প্রস্তাব দেন তা নিয়ে কাজ চলছে।
এ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে ৪৫০ কিলোমিটার এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে এক হাজার ৪২০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ হবে। গ্রামের সড়ক নির্মাণ হবে ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার। এছাড়া উপজেলা পর্যায়ে এক হাজার ১০৫ মিটার এবং গ্রাম ও ইউনিয়নে ১৫ হাজার মিটারের কালভার্ট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
Advertisement
এমএ/জেএইচ/জেআইএম