ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে স্বার্থবিরোধী যেসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তা রিভিউ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
Advertisement
বুধবার বিকেলে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
‘দেশের স্বার্থবিরোধী যেকোনো চুক্তির বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে’ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমরা জনগণের পক্ষে কাজ করি। আজকের সংবাদ সম্মেলনও এ কর্মসূচিরই অংশ।’
ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র ক্রয় প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘চীনের অস্ত্র ব্যবহারে আমরা অভ্যস্ত। আমরা যখন অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি বা সমঝোতা করেছি তখন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে চুক্তি ও সমঝোতা করেছি। আমরা পুরাতন জিনিস ক্রয় করিনি। চীন কেবলমাত্র বাংলাদেশ নয় বিশ্বের অনেক দেশের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে।’
Advertisement
খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে ভারত সফর করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর সই হয়েছে। এ সফরের আগেই দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও শঙ্কতি ছিলাম। চুক্তির আগে নাগরিক সমাজের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। এ গোপনীয়তার কারণে সবার মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছিল। গঙ্গা ব্যারাজ প্রকল্প, সীমান্তে হত্যাসহ এ সফরে কোনো অগ্রগতি মেলেনি। তিনি বলেন, জনগণের সম্মতি ও প্রতিনিধিত্বহীন এ ধরনের সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার কোনো অধিকার থাকে না। সেই কলঙ্কিত ও প্রহসনের নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ ভারত খুবই ন্যক্কারজনকভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল। তাদের (ভারতের) প্রত্যক্ষ সমর্থনের কারণেই তারা টিকে আছে। দেশের মানুষ মনে করে এ সরকার ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি ও সমঝোতা সই করেছে তাতে দেশের কোনো স্বার্থ রক্ষা হয়নি। খর্ব হয়েছে আমাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব। দেশের জনগণ এই ফলাফলে আতঙ্কিত। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সফরকালে শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে যদি কাজ করতেন তাহলে সমর্থন দিতাম। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। কিন্তু একটি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও ভারতে বিগত শাসকদের এক তরফা ভূমিকায় আমরা শঙ্কিত। মানুষের সমর্থন ছাড়া কোনো চুক্তি গায়ের জোরে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তার ইতিহাস রয়েছে।শেখ হাসিনা তার সংবাদ সম্মেলনে যেসব সাফল্য দাবি করেছেন তার বেশিরভাগই অসত্য এবং এক তরফা, দাবি করেন খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমদ আযম খান, শওকত মাহমুদ, ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আমানউল্লাহ আমান, অধ্যাপক সুকমল বড়ুয়া, ২০ দলীয় জোট নেতা মেজর জেনারেল (অব.) মো. ইব্রাহিম, শফিউল আলম প্রধান ও আন্দালিব রহমান পার্থ।
এমএম/জেএইচ/জেআইএম
Advertisement