ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ২৬ বছরে কোন সিরিজ না হারার রেকর্ডটি অক্ষুণ্ণ রাখলো পাকিস্তান। শোয়েব মালিকের সেঞ্চুরির উপর ভর করে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের জয় পায় সফরকারীদলটি। আর এ জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিল সরফরাজবাহিনী।
Advertisement
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ৬৮ রানেই সাজঘরে ফিরে যান তিন ব্যাটসম্যান। এরপর দলের হাল ধরেন শাই হোপ ও জ্যাসন মোহাম্মেদ। দুজনে মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। দুজনেই দেখা পান হাফ সেঞ্চুরির। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়েছেন হোপ। আউট হওয়ার আগে স্বাগতিক দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান আসে তার ব্যাট থেকেই। আর প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক মোহাম্মেদ করেন ৫৯ রান।
এ দুইজনের বিদায়ের পর আবারো ছন্দপতন ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। মাত্র ২৯ রান যোগ করতেই আরও ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ফলে ২৩৩ রানেই থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাকিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির, জুনাইদ খান ও শাদাব খান।
২৩৪ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে ফিরে যান পাকিস্তান ওপেনার কামরান আকমল। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজমকেও (১৬) বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে দেননি ডানহাতি পেসার গ্যাব্রিয়েল। মাঝে আহমেদ শেহজাদকে (৩) সাজঘরে ফেরান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক হোল্ডার।
Advertisement
দলীয় ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ও শোয়েব মালিক। দুইজনে মিলে গড়েন ১১৩ রানের জুটি। ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি করে ৮১ রানে সাজঘরে ফিরে যান হাফিজ। পঞ্চম উইকেটে অধিনায়ক সরফরাজের সঙ্গে অবিছিন্ন ৮৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মালিক। একই সঙ্গে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।
এমআর/আরআইপি