পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করবে দেশের অন্যতম বড় শিল্প গোষ্ঠি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। গ্রুপের এমন স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরি। তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে আমার বাবা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান আজ অনেক বড় হয়েছে। দেশের মানুষের আস্থা আর ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে আজ ৬৭ হাজার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। আর এভাবেই প্রাণ-আরএফএল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করবে। শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠান তিনি এভাবেই গ্রুপের স্বপ্নের কথা জানান।এই স্বপ্নবাজ ব্যবসায়ি বলেন, প্রাণের পণ্য রফাতানি হচ্ছে বিশ্বের ১০৬টি দেশে। আরএফএল এর পন্য রফতানি হচ্ছে ৪০টি দেশে। আমরা কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে, গৃহ সামগ্রী, প্লাস্টিক সামগ্রী, ক্রোকারিজ, আসবাব, ইলেকট্রনিক্স পণ্যসহ অনেক খাতে বিনিয়োগ করেছি। দেশের মানুষের সেবার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের দোয়া করবেন। পরামর্শ দেবেন। আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা আর পরামর্শ নিয়ে অনেক দূর যেতে চাই। তিনি আরো বলেন, ভারতে আমরা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছি। ত্রিপুরার আগরতলায় উৎপাদন হচ্ছে আমাদের পণ্য। কলকাতায় গতকাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে অসংখ্য ভারতীয় কোম্পানী ব্যবসা করছে। আমরা ভারতে ব্যবসা করে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।আহসান খান বলেন, নেপালে আমরা কোম্পানি শুরু করেছি। কারখানা করা হয়েছে। নেপালে খাদ্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রাণ এক নম্বর হবে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব-আমিরাত, সৌদি আরব, কাতারে প্রাণ-আরএফএল এর কোম্পানী আছে, বলছিলেন আহসান খান চৌধুরি। তিনি বলেন, ৩০ বছর আগে রংপুরে আমার বাবা ব্যবসা শুরু করেছিলেন। রংপুরে আমাদের অগ্রযাত্রা আজও আছে। রংপুরকে আমরা বিশ্বে পরিচিত করে তুলব। তিনি মনে করেন, তৈরিপোশাক খাত প্রাণ-আরএফএল এর অগ্রজ। পোশাক খাতের ব্যবসায়িরা দেশের গর্ব। তাদের জন্য রিজার্ভ বাড়ছে। তা না হলে রিজার্ভ থাকত না। তাই পোশাক খাতের ব্যবসায়িদের পথে হাঁটাটা জরুরি। আহসান খান বলেন, আমরা সততা নিয়ে ব্যবসা করতে চাই। গলাকাটা ব্যবসা আমাদের নীতি নয়। সেবাটাই বড় কথা। তাই দেশের মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে। আমরা সেই আস্থা নিয়ে এগিয়ে যাবো।এসএ/এসআরজে
Advertisement