দেশজুড়ে

মন্ত্রী বললেন, কথা রাখতে পারিনি বলে লজ্জিত

ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বিমানবন্দর চালু হবে। চালু হলে দেশ বিদেশের অনেক উদ্যোক্তা এ অঞ্চলে ভারি শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।

Advertisement

সেই সঙ্গে যোগাযোগের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বিমানবন্দরটি। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি বিমানবন্দরটি পরিদর্শনে এসে চালুর উপযোগী বলে বিমান চালুর ঘোষণা দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

সেই আশায় বুক বেঁধে ছিল ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের মানুষ। সবাই মনে করেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও আগমন উপলক্ষে বিমানবন্দরটি চালু ঘোষণা দেবেন এই মাসেই।

কিন্তু মঙ্গলবার দুপুরে (১১ এপ্রিল) বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে সরকারের এককভাবে বিশাল অর্থের বিনিময়ে বিমানবন্দরটি পুনরায় চালু করা সম্ভব না বলে জানিয়েছেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে রাখতে পারিনি বলে লজ্জিত। তবুও এটি চালুর লক্ষে একনেকের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসে আবারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’

তার বক্তব্যে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের আশায় যেন মরীচিকায় পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি হতাশ হয়েছেন জেলার সব মানুষ। সেই সঙ্গে আবারও চালুর উদ্যাগ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন জেলার মানুষ।

পরির্দশন উপলক্ষে শিবগঞ্জ বিমানবন্দরে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইাসলাম এমপি, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি ইয়াসিন আলী, পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী।

পরে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন পীরগঞ্জ উপজেলার ওয়ার্কাস পার্টির এক সভায় যোগ দেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এর যোগাযোগ ছিল। সে সময় ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে নিয়মিত বিমান সার্ভিস চালু ছিল।

তখন থেকেই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদ সমূহের সাথে ঢাকার বিমান যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালে লোকসানের অজুহাতে এই বিমান বন্দরটিকে বন্ধ করে দেয়া হয়।

মো. রবিউল এহসান রিপন/এএম/জেআইএম