মতামত

কারণ অনুসন্ধান করুন

রাজধানীর মহাখালীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কেন্দ্রীয় গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট এসে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। গুদামটি ২৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের। এর ভেতর অনেক ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। আগুনে অনেক কিছুই পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকার জিনিসপত্র পুড়ে গেছে। আগুন লাগার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করে এর প্রতিকার করতে হবে।

Advertisement

নানা দিক থেকেই গুদামটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী থাকায় এই গুদামের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা জরুরি ছিল। দুঃখজনক হচ্ছে ১৯৭৮ সালে নির্মিত গুদামটি অনেক আগে থেকেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এটি সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এছাড়া গুদামে অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই প্রায় ছিল না। রাজধানীতে অন্য অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে যেটি হয় এখানেও কাছাকাছি পানির উৎস না থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। যদিও আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সর্বাত্মক চেষ্টা চালায়। এই অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে নিয়ম মাফিক। এর রিপোর্ট যাতে আলোর মুখ দেখে সেটিই প্রত্যাশা করে দেশের মানুষ।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় পণ্য গুদাম এমন অনিরাপদ থাকে কী করে এটি নিয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাছাড়া গুদামটি ব্যবহারের অনুপযোগী থাকায় এনিয়ে আরো বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি ছিল। কেন তা করা হয়নি সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। প্রসূতি মায়েদের নিরাপদ প্রসব ও জন্ম নিয়ন্ত্রণ সামগ্রী পুড়ে যাওয়ার প্রভাব যাতে এ ক্ষেত্রে না পড়ে জরুরি ভিত্তিতে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধেও নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা।

এইচআর/পিআর

Advertisement