দেশজুড়ে

জঙ্গি রিপনের প্রাণভিক্ষা নাকচের আদেশ সিলেট কারাগারে

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কর্তৃক নাকচ করে দেয়ার আদেশ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাষ্ট্রপতির আদেশনামা কারাগারে পৌঁছায়।

Advertisement

এর ফলে তার ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো বাধা রইল না। এখন জেলকোড অনুযায়ী ফাঁসি কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. আবু সায়েম জাগো নিউজকে জানান, জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র আজ সকালে আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। এখন কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে অন্য দুজন বন্দি আছেন গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।

Advertisement

এর আগে গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, হরকাতুল জিহাদের শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান, তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

এদিকে, রোববার বিকেলে জঙ্গি নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শিশু, নারী ও পুরুষসহ প্রায় ১২ জন। এ সময় রাষ্ট্রপতি তার প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেয়ার বিষয়টি তাকে জানানো হয়।

কারা সূত্রে জানা গেছে, রিপনকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। ফাঁসির আদেশ পাওয়ার পর পরই যাতে তা কার্যকর করা যায়, সেজন্য ফাঁসির মঞ্চ ও কারাগারের ৮-১০ জন জল্লাদকে প্রস্তত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে লক্ষ করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন। এছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি। এ ঘটনায় আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন।

Advertisement

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে খারিজ হয়ে যায়। এরপর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন খারিজ করে দেন।

ছামির মাহমুদ/আরএআর/আরআইপি