জাতীয়

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা

দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। পুরাতনকে ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বাঙলার ঘরে ঘরে। সেদিন দল-মত নির্বিশেষে মাতবে সবাই প্রাণের উৎসবে। এই উৎসব নির্বিঘ্নে পালনের জন্য নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করেছে সরকার। পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মূলত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রবীন্দ্র সরোবর এবং মূল অনুষ্ঠানস্থল রমনার বটমূলকে ঘিরে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি এবার দেখা যেতে পারে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর সদস্যদের। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত এক বৈঠক থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে বর্ষবরণের সকল অনুষ্ঠান শেষ করতে সকলের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। নারী উত্ত্যক্তকারীদের নিবৃত রাখতে এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে মাঠে থাকবে সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফোর্স। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পাশাপাশি গোটা নগর জুড়ে নেয়া হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা। এ জন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মহানগর পুলিশের সঙ্গে এক সঙ্গে কাজ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও দুই সিটি কর্পোরেশন। পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বর্ষবরণ কোনো নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের উৎসব নয়। সব বাংলা ভাষাভাষি মানুষের প্রাণের উৎসব এটি। এই বর্ষবরণকে ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনো হুমকি নেই। তবু সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, বিশেষ করে মঙ্গল শোভাযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে শোভাযাত্রা শুরুর পর মাঝপথে কোনো উৎসাহী মানুষ শোভাযাত্রায় নতুন করে মিলিত হতে পারবেন না। এতে উৎসবে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। এর জন্য সব গোয়েন্দা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। তবে রাজধানীর তিনটি স্পট ঘিরে নেয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনার বটমূল এবং রবীন্দ্র সরোবর। গত সপ্তাহে এ-সংক্রান্ত বৈঠকে এসব নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করা হয়।

Advertisement

এআর/এআরএস/আরআইপি