শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি মাঠে গড়ানোর খানিক আগেই ক্রিকেটের এই ছোট ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণাটা দিয়েছিলেন মাশরাফি। বলেছিলেন, শ্রীলঙ্কা সিরিজই তার শেষ। শেষ টি-টোয়েন্টিতে তাকে অবশ্য জয়ই উপহার দিয়েছিল তার সতীর্থরা। এরপরই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে গেছে মাশরাফির।
Advertisement
তবে তার হুট করে নেয়া সিদ্ধান্তের পেছনে অনেক কিছুকেই অনুঘটক হিসেবে দায়ী করছেন অনেকে। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়া থেকে বোর্ডেরও নাকি মাশরাফির ওপর চাপ ছিল টি-টোয়েন্টি ছাড়ার। যদিও এ ব্যাপারে কিছু বলছেন না মাশরাফি নিজে। আদৌ কিছু বলবেনও না। বরং, টি-টোয়েন্টিতে ১০-১১ বছর খেলার এবং দলকে নেতৃত্বের সুযোগ দেয়ার জন্য বোর্ড সভাপতি থেকে কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
তবে, ক্রিকেটবিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে সোমবার মিরপুরে বসে এক সাক্ষাৎকারে মাশরাফি জানিয়েছেন, যতদিন পারা যায়, ততদিন তিনি ওয়ানডে খেলে যেতে চান। কারণ তিনি ওয়ানডে খেলতে ভালোবাসেন। যদিও কবে অবসর নেবেন, এ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো সময় সীমা তিনি বাধতে পারবেন না। তবে, যদি কোনো চাপ তৈরি হয়, তাহলে টি-টোয়েন্টির মতোই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন তিনি।
ক্রিকইনফোর এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘আমি সত্যিই ওয়ানডে ক্রিকেট উপভোগ করছি। একই সঙ্গে বলবো, ওয়ানডের তুলনায় টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টিতে আমরা একটু মন্থর গতিতেই এগুচ্ছি। যেখানে ওয়ানডেতে আমরা ১০ নম্বর (আইসিসি র্যাংকিং) থেকে দ্রুত ৭ নম্বর অবস্থানে পৌঁছে যেতে পেরেছি। আমরা অনেক বড় একটি ধাপ অতিক্রম করে ফেলেছি। এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কিছু খেলোয়াড়ের দারুণ পারফরম্যান্সের কারণে।
Advertisement
আমি ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসি এবং চাই যতদিন পারা যায় ততদিন খেলে যেতে চাই। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করা কঠিন। বিশেষ করে বাংলাদেশে। আমি চাই খেলা চালিয়ে যেতে; কিন্তু আমি যদি খারাপ সময় অতিবাহিত করি এবং আমার ওপর চাপ তৈরি হতে থাকে, তাহলে তো অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে হবে।’
আইএইচএস/