বিনোদন

অপু বিশ্বাসের বিশ্বাস ভেঙে ফেসবুকে ধরা শাকিব

জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা অপু বিশ্বাসের কান্না বহুবার দেখেছে এ দেশের সিনেমাপ্রেমী মানুষেরা। পরিচালকের নিদের্শেনায় কাঁদতে হয়েছে, আবার হাসতেও হয়েছে তাকে। আজ পরিচালক ছিল না। ছিল না কোনো নির্দেশনাও। তবু কাঁদলেন। কেঁদে কেঁদে বুক ভাসালেন। তাও আবার ক্যামেরার সামনে বসেই। এ কান্নায় যে তীর বিঁধলেন অপু বিশ্বাস, তা যেন শাকিব নামের ‘পুরুষ’ এর প্রতি অবিশ্বাসরই বহিঃপ্রকাশ।

Advertisement

স্বামীর অধিকার চেয়ে অপুর এ কান্না যে লাখো-কোটি ভক্তের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা সামাজিক মাধ্যমে প্রমাণ মিলেছে। অপুর জন্য কান্নার ঝড় বইছে ফেসবুকে।

আর জনপ্রিয় শাকিবের জন্য মিলছে ধিক্কার, নিন্দা আর ঘৃণার নানা কথন। ‘নায়ক’ শাকিব খান ফেসবুকে এখন ‘খলনায়ক’ চিরত্রে প্রকাশ নিয়েছে।

সোমবার দুপুরে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে আসেন অপু বিশ্বাস। চ্যানেলটির লাইভ অনুষ্ঠানে মুখ খোলেন তার সংসার জীবন নিয়ে। শাকিবকে বিয়ে করে সংসার পাতেন ২০০৮ সালে। তাও আবার ধর্মান্তরিত হয়ে। প্রেম ছিল নাকি আরও আগে থেকেই। গেল বছর চাঁদের মতো এক ছেলে এসেছে শাকিব-অপুর ঘরে। ছেলেকে সঙ্গে নিয়েই লাইভ অনুষ্ঠোনে এসে  শাকিবের মুখোশ খুলে দেন।

Advertisement

বলেন, শাকিবের চাপের কারণেই বিয়ের কথা গোপন রাখতে হয়। গোপন রাখতে হয়েছে আরও অনেক কিছু। আমার ছেলের বাবা শাকিব খান।

এরপরেই মিডিয়ায় ঝড় ওঠে অপু-শাকিব-এর সংসার কীর্তনে। অপু-শাকিবের বিয়ের খবরে চাপা পড়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খবরও। গুরুত্ব পায় সামাজিক মাধ্যমেও। তবে সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার আলোচনা হলেও শাকিবকে নিয়ে সমালোচনাই হচ্ছে বেশি।

সোমবার সন্ধ্যায় শাহেদ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী শাকিবের সমালোচনা করে তার ওয়ালে লেখেন, শাকিব খানকে গ্রেফতার করা হোক।

মেহেদী হাসান নামের আরেকজন লিখেছেন, আমগো নায়কদের কি করুণ অবস্থা, নিজেকে বাপ বা বর হিসেবে পরিচয় দিলে ক্যারিয়ার থাকে না।

Advertisement

সাফিন জাহিদ নামের এক গণমাধ্যম কর্মী  ফেসবুকে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অপু’ বিশ্বাস করেই শাকিবের আশ্বাসে তার নামের বিশ্বাস মুছে ফেলেছেন।

এএসএস/এএইচ/আরআইপি