মানুষ আল্লাহ তাআলার সঙ্গে অন্যকে শরিক করে আবার তাঁর অবাধ্য হয়। এ শিরককারী এবং অবাধ্যদের জানা নেই যে, মহান আল্লাহ তাআলা কত মহান এবং সীমাহীন দয়ার অধিকারী। তাঁর অবাধ্যতা সত্ত্বেও তিনি সবাইকে তাঁর দেয়া আলো-বাসাত ও রিজিক দিয়ে অনুগ্রহ করছেন।
Advertisement
অবিশ্বাসীরা যদি আল্লাহ তাআলার অসীম দয়া ও ক্ষমতা সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারতো তাহলে তারা কখনোই তাঁকে ব্যতীত আল্লাহ তাআলার কোনো সৃষ্টি তথা মানুষ, জীন, গাছ-পালা, পাথর ইত্যাদির পূজা উপাসনা করতো না। এগুলোর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতো না, ভরসা করতো না।
কারণ আল্লাহর ক্ষমতার সামনে এ সবই তুচ্ছ বরং সমগ্র সৃষ্টিই তার দয়ার মুখাপেক্ষী। আল্লাহ তাআলা কুরআন এবং হাদিসে তাঁর দয়া ও ক্ষমতার অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারা আল্লাহর যথাযথ মর্যাদা নিরপণ করতে পারেনি। কিয়ামাতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোতে এবং আকাশসমূহ থাকবে গুটানো অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। তিনি পবিত্র-মহান, আর তারা যা শরিক করে তা থেকে তিনি অনেক উর্ধ্বে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৬৭)
Advertisement
হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন এক ইয়াহুদি পণ্ডিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললো-
হে মুহাম্মদ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমরা তাওরাত কিতাবে দেখেছি যে, ‘আল্লাহ তাআলা সাত আসমানকে এক আঙ্গুলে এবং জমিনসমূহকে এক আঙ্গুলে, বৃক্ষরাজিকে এক আঙ্গুলে, পানিকে এক আঙ্গুলে, ভূগর্ভের সব জিনিসকে এক আঙ্গুলে এবং সব সৃষ্টি জগতকে এক আঙ্গুলে রেখে বলবেন, আমিই সম্রাট।’
ইয়াহুদি পণ্ডিতের কথাগুলো শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার কথার সমর্থনে এমনভাবে হেসে দিলেন যে, তাঁর দাঁত মোবারক দেখা যাচ্ছিল।
অতপর তিনি সুরা যুমারের ৬৭নং আয়াত তিলাওয়াত করেন, ‘তারা আল্লাহর যথার্থ মর্যাদা নিরূপন করতে পারেনি। ক্বিয়ামাতের দিন সমগ্র পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোয় এবং আসমানসমূহ ভাঁজ করা অবস্থায় থাকবে তার ডান হাতে। তারা যাকে (আল্লাহর সঙ্গে) শরিক করে, তিনি তার থেকে অনেক উর্ধ্বে।’
Advertisement
পরিশেষে…মহান আল্লাহ তাআলা বিপরীতে দুনিয়ার কোনো শক্তির নিকট মাথা নত নয়, আল্লাহর পরিবর্তে কোনো শক্তিকেই সমর্থন নয়, বরং মুসলমানের শির নত হবে একমাত্র আল্লাহর সমীপে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শুধুমাত্র তাঁরই ইবাদাত-বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম