ভারত সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে রোববার রাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়।
Advertisement
নৈশভোজ থেকে বেরিয়ে মমতা জানিয়েছেন, ‘তিস্তা নিয়ে নতুন করে কোনো কথা হয়নি। যা বলার আগেই বলেছি।’ তবে তিস্তার তিক্ততা ভোজসভার উষ্ণ পরিবেশকে ব্যাহত করতে পারেনি। নৈশভোজ থেকে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ফিরে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে মমতা বলেন , ‘হাসিনাদির সঙ্গে অনেক গল্প হলো। দিদি আমায় বললেন যে, আমি এত কম কেন খাচ্ছি?
আমি ওকে বললাম আমি তো কমই খাই। হাসিনাদি বলেছেন, ঢাকায় গেলে নিজের হাতে রান্না করে আমায় খাওয়াবেন। আমিও বলেছি তা হলে আমিও আপনাকে রান্না করে খাওয়াব। ’
রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদীর সঙ্গে সাধারণ সৌজন্য বিনিময় ছাড়া বিশেষ কথা হয়নি মমতার। মোদির টেবিল থেকে বেশ কিছুটা দূরেই বসেছিলেন তিনি। ভোজসভায় হাজির ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, পীযূষ গোয়েল, প্রধান বিচারপতি জেএস কেহর। মমতার সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়।
Advertisement
রোববার আজমির শরিফ মাজার জিয়ারত শেষে ফিরে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন হাসিনা। নৈশভোজে কংগ্রেসের পক্ষে হাজির ছিলেন গুলাম নবি আজাদ।
রাষ্ট্রপতির ডাকে প্রোটোকলে ঘেরা এই সরকারি নৈশভোজে হাসিনার সঙ্গে তিস্তা নিয়ে আর কোনো আলোচনার অবকাশ ছিল না মমতার। চল্লিশ কোর্সের এলাহি নৈশভোজে মাছের পদই ছিল ছয় রকমের। বাঙালি পদের দাপটই বেশি ছিল এই ভোজসভায়।
মমতা নিজেই জানিয়েছেন, ১৪ থেকে ১৫ বার প্লেট বদল করা হয়েছে। তবে শনিবারের তিক্ততা অন্তত বিদায়বেলায় মনে রাখেননি কেউই। বাঙালি রাষ্ট্রপতির নিবাসে হাসি-ঠাট্টা এবং গল্পে মেতে ওঠেন দুই নেত্রী। ভোজের আগে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিস্তা নিয়ে কঠোর অবস্থানে বাংলাদেশে যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা ভালোই জানেন মমতা। ভোজসভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপে মমতা তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেন, তিনি বাংলাদেশের ভালো চান, বাংলাদেশকেও ভালোবাসেন। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থেই তিস্তার পানি তার পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম