জাতীয়

পাটের বস্তার ব্যবহার নিশ্চিতে আবারও অভিযান

বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, ‘ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনিসহ ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সারাদেশে আগামী ১৫ মে থেকে আবারও বিশেষ অভিযান শুরু হবে। রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, ‘কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, ব্যাংকঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আইআরসি বা ইআরসি বাতিলের বিধান রেখে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ বাস্তবায়নে এবার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য এবার বিশেষ অভিযানে অর্থ ও কারাদণ্ডের উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করা হবে। যদিও ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে দেশের বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।’

‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন -২০১০’ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্টোক হোল্ডারদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় জানানো হয়, আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর ১০০ কোটি পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি হবে। স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাটচাষিদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে।

Advertisement

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি সংরক্ষণ ও পরিবহনে আবারও প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে আইন মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটরিংয়ের জন্য সারাদেশে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে। এজন্য সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে এ আইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়জুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসির চেয়ারম্যান ড. মো. মাহমুদুল রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) এর প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্টোক হোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/বিএ/আরআইপি

Advertisement