আন্তর্জাতিক

কর্ণাটক থেকে ৪০ হাজার ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বহিষ্কারে চিঠি

কর্ণাটক থেকে ৪০ হাজারের বেশি তথাকথিত অবৈধ বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করতে এবারে কর্ণাটক রাজ্যের জনতা দলের (ধর্মনিরপেক্ষ) সভাপতি ও রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমার স্বামী কর্ণাটকের বর্তমান কংগ্রেস দলীয় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে চিঠি লিখেছেন। কুমার স্বামী মনে করেন ভারতে যত অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী রয়েছে তার শতকরা আশি ভাগ কর্নাটকে আবাস গড়েছেন। শুক্রবার ডেকান হেরাল্ডে ওই চিঠির বিবরণ ছাপা হয়েছে। ভারতের সাবেক  প্রধানমন্ত্রী দেবে গৌড়ার পুত্র মি. কুমার স্বামী কর্ণাটকে ‘কুমার আন্না’ বা বড়ভাই হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়। তিনি কানাডা ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও ব্যাপক পরিচিত। ২০০৬ ও ২০০৭ সালে তিনি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। এ সময় অবশ্য কানাডা ছবির নায়িকা রাধিকাকে নিয়ে গোপন অভিসারে বিদেশে গিয়েছিলেন মর্মে মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি তিনি বেঙ্গালুরুর রাজনৈতিক ময়দানে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী খেদাও আন্দোলনের নেতা হিসেবে তাকে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি তিনি ঢাকাঢোল পিটিয়ে একটি সিডি প্রকাশ করেছেন। ওই সিডিকে তার দলের পক্ষ থেকে বেঙ্গালুরুতে ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের’ অবস্থানের সপক্ষে একটি প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।  গত ১৮ই এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে কুমার স্বামী বলেন, ‘বেঙ্গালুরুতে গত কয়েক বছরে ৪০ হাজারের বেশি অবৈধ বাংলাদেশি বাসা বেধেছে এবং সমগ্র রাজ্যে তাদের সংখ্যা ৬০ হাজারের বেশি হতে পারে। তার কথায়, অবৈধ বাংলাদেশিরা রাজ্যে মাদক চোরাচালান ও অবৈধ মুদ্রা পাচারসহ নানাবিধ অপতৎপরতার সঙ্গে জড়িত। রাজ্যের পতিতাদের শতকরা আট ভাগ বাংলাদেশী নারী।  কুমার স্বামী তার চিঠিতে আরও জানান, অধিকাংশ বাংলাদেশির কাছে ভারতের পরিচয়পত্র ও রেশনকার্ড রয়েছে। কুমার স্বামী ওই চিঠিতে তার ভাষায়, পুলিশ চোখ বন্ধ করে রাখার জন্য বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। রাজ্যের স্বার্থে তিনি অবৈধ বাংলাদেশিদের বিতাড়নে অবিলম্বে যথাবিহিত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এর আগে কুমার স্বামীর নেতৃত্বাধীন জনতা দলই করতেন। কিন্তু তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর তিনি ইন্দিরা কংগ্রেসে যোগ দেন।  এএইচ/এমএস

Advertisement